কিন্তু শেষ বাঁশি বাজতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ফুটবলাররা। ফুটবলারদের পাশাপাশি গ্যালারিতে থাকা ইউক্রেনের সমর্থকদেরও একই অবস্থা। বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার পৌঁছে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসে গিয়েছিল ইউক্রেনের সামনে। ওয়েলসের বিরুদ্ধে ম্যাচে গতকাল কার্ডিফে অধিনায়ক গ্যারেথ বেলের ফ্রি কিক বিপন্মুক্ত করতে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের আন্দ্রি ইয়ারমোলেঙ্কো।
কিন্তু তা জালে জড়িয়ে যায়। এই আত্মঘাতী গোলে অগ্রগমন শেষ অবধি ধরে রাখে ওয়েলস। এই গোল ১৯৫৮ সালের পর ফের ওয়েলসকে পৌঁছে দিল ফুটবল বিশ্বকাপের আসরে। ইউক্রেনকে ছিটকে দিয়ে। রাশিয়ার যুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউক্রেন যে কোনও মূল্যে বিশ্বকাপে পৌঁছাতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন চুরমার হতেই আর আবেগকে সামলাতে পারেনি গোটা ইউক্রেন দল।
গত বছর ইউক্রেন ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল। তাতেই ইউক্রেনবাসী অপেক্ষায় ছিলেন বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের। এরই মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করায় বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচগুলি পিছিয়ে দেওয়া হয়। দেশের বাইরে গিয়ে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের অনুশীলন শুরু করতে হয় ইউক্রেন ফুটবলারদের।
এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে শান্তির পরিবেশ তৈরি করতে যুদ্ধ বন্ধের আর্জিও জানান জিনচেঙ্কো। আমরা ফুটবলাররা নিজেদের দেশের প্রতিনিধিত্ব আরও বেশি করে করতে চাই। প্রত্যেকেই চান শান্তিতে বসবাস করতে। সকলে মিলে এই যুদ্ধ থামাতে হবে। আজ ইউক্রেনে যুদ্ধ হচ্ছে। কে বলতে পারে কাল অন্যত্র তা হবে না? ফলে আমাদের সকলকে একজোট থাকতে হবে। ইউক্রেনের এই হার মন ভেঙে দিয়েছে অনেক ফুটবলপ্রেমীর। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা জিনিস ফুটবলকে আঁকড়ে ধরে বাঁচার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সাহস দেখছিল। সেটা আর হল না।