পূর্ব নির্ধারিত অনুযায়ী বিসিসিআই অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা ক্রিকেটের দুটি ম্যাচ উত্তর প্রদেশ বনাম দিল্লি এবং অন্ধ্রপ্রদেশ বনাম রাজস্থান ম্যাচ বৃহস্পতিবার আয়োজন হওয়ার কথা ছিল দেশবন্ধু পার্কের মাঠে। কিন্তু ম্যাচের আগের দিন BCCI- র ম্যাচ রেফারি এবং আম্পায়াররা মাঠ পরিদর্শন করতে গিয়ে চক্ষু চড়ক গাছ। মাঠ এবং পিচ কোনটাই তৈরি নয় বলে দেশবন্ধু পার্কের মাঠে ম্যাচ আয়োজন সম্ভব নয় বলে তারা ঘোষণা করে দেন। সরাসরি তারা অভিযোগ জানান বিসিসিআইতে।
advertisement
প্রাক্তন ক্রিকেটার আবে কুরুভিল্লা যিনি এই মুহূর্তে বিসিসিআই জেনারেল ম্যানেজার ক্রিকেট অপারেশনের পদে রয়েছেন৷ তাঁর কাছেই অভিযোগ জানানো হয়। এই অভিযোগ পাওয়ার পর বিসিসিআইকে একটি মেইল লিখে পাঠান তিনি। সূত্রের খবর সেখানে জানতে যাওয়া হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই সব নির্ধারিত হওয়া সত্বেও কেন ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হল না নির্ধারিত মাঠে- কার্যত তার জবাব চাওয়া হয়েছে।
সিএবি কর্তাদের কাছে বিকল্প মাঠ হাতে ছিল না। কারণ বৃহস্পতিবার থেকেই সিএবি পরিচালিত ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ শুরু হচ্ছে। যার ফলে ইডেন কিংবা যাদবপুর অথবা ভিডিওকনের মাঠ কোনটাই খালি নেই।
শেষ পর্যন্ত কোন অবস্থা না পেয়ে বারাসতে আদিত্য অ্যাকাডেমি ক্রিকেট মাঠে বোর্ডের দুই ম্যাচ নিয়ে যেতে বাধ্য হন সিএবি কর্তারা। সিএবি তরফে খবর, মাঠের দায়িত্ব ছিল সিএবির যুগ্ম সচিব মদন মোহন ঘোষের হাতে। আসলে গ্রাউন্ডস কমিটি মাঠ পরিদর্শন করার দায়িত্বে থাকলেও পুরো বিষয়টি যুগ্ম সচিব পদে যিনি থাকেন তিনি মনিটরিং করেন। সূত্রের খবর, যুগ্ম সচিব মদন ঘোষ গ্রাউন্ড কমিটির সচিব অমিতাভ আদ্যিকে জানান মাঠ পরিদর্শনে যাওয়ার দরকার নেই সম্পূর্ণ মাঠ তৈরি হয়েছে। তাই তিনি যাননি। ঔ এমনকি যুগ্ম সচিব বর্তমানে শিলিগুড়িতে রয়েছেন ক্রিকেটের একটি অনুষ্ঠানে। তবে এ বিষয়ে সিএবি তরফ থেকে কেউ মুখ খুলতে নারাজ।
Eeron Roy Burman
