তার দাবি, প্যালেস্টাইনের সমর্থক হওয়ার কারণেই রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন রোনাল্ডো। খবর আল-জাজিরার। বিশ্বকাপের দ্বিতীয়পর্বে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রাক্তন ম্যান ইউ ও রিয়েল মাদ্রিদ তারকাকে প্রথমে বসিয়ে রেখেছিলেন পর্তুগিজ কোচ। পরে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামার সুযোগ পান তিনি।
এরপর কোয়ার্টার ফাইনালের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও রোনালদোকে মাঠে নামানো হয় দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে। ওই ম্যাচে মরক্কোর কাছে ০-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় পর্তুগাল। ৩৭ বছর বয়সী রোনালদোর জন্য এটাই সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপ। ফলে ভগ্নহৃদয়ে কাঁদতে কাঁদতে রোনালদোর মাঠ ছাড়ার দৃশ্য মনে দাগ কেটে যায় ফুটবলপ্রেমীদের।
advertisement
তার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে অভিযোগ তুলে সরব হন অনেকে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন এরদোয়ানও। গত ২৫ ডিসেম্বর তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় এরজুরুম প্রদেশে এক যুব অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ওরা রোনালদোকে কাজে লাগায়নি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তারা তার ওপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ম্যাচের মাত্র ৩০ মিনিট বাকি থাকতে রোনালদোর মতো ফুটবলারকে মাঠে নামানো হয়েছে। এটি তার মনস্তত্ত্বকে নষ্ট করেছে এবং তার তেজ কেড়ে নিয়েছে। রোনালদো এমন একজন ব্যক্তি, যিনি ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন রোনালদো।
অবশ্য প্যালেস্টাইন -ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে রোনালদো কখনো প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে অনলাইনে এ বিষয়ে বহুবার ভুয়া খবর ছড়িয়েছে। এখন দেখার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যে পর্তুগিজ তারকা পাল্টা কিছু বলেন কিনা।