ম্যাচ শেষে তিলক বর্মা বলেন, “চাপ ছিল, ওরা ভালো বল করছিল। আমি ধৈর্য রেখে খেলতে চেয়েছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “আমি গৌতি স্যারের সঙ্গে উইকেট ধীরগতির হলে কীভাবে খেলতে হয় তা নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি এবং অনুশীলন করেছি।” পাশাপাশি তিলক দলের নমনীয়তা এবং যেকোনো ব্যাটিং পজিশনে খেলার প্রস্তুতির কথাও উল্লেখ করেন। এই ম্যাচে সঞ্জু স্যামসন ও শিবম দুবের অবদানকেও তিনি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন।
advertisement
তিলক বর্মার জীবন সংগ্রামও কম অনুপ্রেরণাদায়ক নয়। হায়দরাবাদের একটি সাধারণ পরিবারে জন্ম, যেখানে তার বাবা ছিলেন একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। সংসারের টানাপোড়েনের মাঝেও তার বাবা-মা তাকে ক্রিকেটের জন্য সাহস ও সমর্থন দিয়ে গেছেন। পরিবারের এই ত্যাগ এবং তিলকের পরিশ্রমই আজ তাকে এই উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
তিলকের ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয়েছিল ধার করা কিট পরে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের ফলে ২০২২ সালের আইপিএল মেগা অকশনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাকে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকায় দলে নেয়। সেই থেকেই শুরু হয় তার উত্থানের আসল অধ্যায়।
বর্তানে তিলক বর্মা শুধু একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটারই নন, বরং হাজারো তরুণের অনুপ্রেরণা। তার সাফল্য প্রমাণ করে, সীমিত সুযোগ থেকেও যদি কেউ কঠোর পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা যায়, তাহলে নিজের স্বপ্নপূরণ ও আন্তর্জাতিক মঞ্চেও সাফল্য অর্জন সম্ভব।