প্রথম ওভার থেকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ১৬ ওভারে ৯৭ রানেই শেষ হয়ে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস। মহেন্দ্র সিং ধোনি ৩৩ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকলেন। তবে সঙ্গীদের সঙ্গত পেলেন না। ড্যানিয়েল স্যামস তিনটি ও রাইলে মেয়ারডিথ ও কুমার কার্তিকেয় দুটি করে উইকেট দখল করেন। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে কিছুটা দুর্ভাগ্যের শিকার হলেও চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটিং সামগ্রিকভাবে হতাশাজনকই।
advertisement
পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারে স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৩২। প্রথম ওভারেই ড্যানিয়েল স্যামস ডেভন কনওয়ে ও মঈন আলিকে আউট করে ধাক্কা দেন। ১.৪ ওভারে ৫ রানের মাথায় পড়ে তিন উইকেট। ওয়াংখেড়েতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে টসের আগেই একটি ফ্লাডলাইটের টাওয়ারের বাতি নিভেছিল। ফলে টস দেরিতে হয়। কিন্তু বিভ্রাটের জেরে দীর্ঘক্ষণ ডিআরএস প্রযুক্তি অচল হয়ে পড়ে।
এরই মধ্যে ডেভন কনওয়ে (০) ও রবিন উথাপ্পা (১) লেগ বিফোর হলেও রিভিউ নিতে পারেননি। ১২.২ ওভারে ৭৮ রানের মাথায় চেন্নাই সুপার কিংসের সপ্তম উইকেট পড়ে। ১৫ বলে ১২ রান করে ব্র্যাভো কুমার কার্তিকেয়র শিকার হন। তাঁর ক্যাচটি দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দি করেন তিলক বর্মা। ৮০ রানের মাথায় অষ্টম ও ৮১ রানে নবম উইকেট পড়ে সিএসকের।
সিমরজিৎ সিং ২ ও মাহিশ থিকশানা ০ রানে আউট হন। এরপর নিজেই স্ট্রাইক নিয়ে খেলতে থাকেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু তাও যথেষ্ট ছিল না। ঈশানকে (৬) আউট করলেন মুকেশ চৌধুরী। ১৮ রানে আউট রোহিত শর্মা। সিমর জিতের বলে আউট হওয়ার আগে পর্যন্ত দারুণ ছন্দে মনে হচ্ছিল রোহিতকে। চতুর্থ ওভারের শেষে উইকেটে স্যামস এবং তিলক। দারুন বল করলেন মুকেশ। গতি, সুইং,
মুভমেন্ট দিয়ে কাবু করলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ব্যাটসম্যানদের। চার ওভারে ২৩ রান দিয়ে তুলে নিলেন তিন উইকেট। তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া সেটা বুঝিয়ে দিলেন এই বাঁহাতি পেসার। অন্যদিকে সিমার সীমরজিত খুব ভাল বল করলেন। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা মুকেশ এবং সীমরজিতের প্রশংসা করলেন।
মুম্বইয়ের কাছে বাকি ম্যাচগুলি অনেকটা ‘ডেড রাবার’এর মতো। এত অল্প রান তাড়া করতে নেমে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু দুই তরুণ ক্রিকেটার তিলক বর্মা এবং ঋত্বিক শকিন মিলে মুম্বইকে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে এগিয়ে গেলেন।
ঋত্বিক ছয় মারতে গিয়ে মঈন আলির বলে আউট হলেন। বাকি কাজটা করে দিলেন টিম ডেভিড। দাপটে জিতল মুম্বই। পাশাপাশি চেন্নাইয়ের যাত্রা ভঙ্গ করল তারা।
