মাঠ থেকে সরাসরি তাকে দ্রুত সিডনির এক হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে তার শারীরিক অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক ছিল। চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর সময় তার রক্তচাপ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিপজ্জনকভাবে নিচে নেমে গিয়েছিল। গুরুতর অবস্থার কারণে তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয় এবং “ইন্টারভেনশনাল ট্রান্স-ক্যাথেটার এমবোলাইজেশন” নামের জটিল চিকিৎসা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়।
advertisement
মঙ্গলবার তার অবস্থার উন্নতি হলে তাকে আইসিইউ থেকে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) শ্রেয়স নিজেই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জানিয়েছেন, তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং প্রতিটি দিন আগের চেয়ে ভালো বোধ করছেন। ভক্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ সবার ভালোবাসা ও শুভেচ্ছার জন্য। এই সমর্থন আমার জন্য অনেক শক্তির উৎস।”
বিসিসিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শ্রেয়সের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং তার চিকিৎসকদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যৌথভাবে তার চিকিৎসায় কাজ করছেন। দলের বাকি সদস্যরা দেশে ফিরে গেলেও বিসিসিআইয়ের টিম ডাক্তার সিডনিতে থেকে গেছেন শ্রেয়সের পাশে।
চিকিৎসকদের মতে, আইয়ারের পুরোপুরি সেরে উঠতে অন্তত দুই মাস সময় লাগবে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে তাকে দেখা যাবে না। আগামী বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে তিনি ফিরতে পারবেন কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা আশা করছেন, শীঘ্রই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আবারও মাঠে ফিরবেন শ্রেয়স আইয়ার।

