সেখানেই বছরের পর বছর সময় কাটিয়েছেন আকাশ। এখনও কলকাতায় আকাশের নিজস্ব কোনও ঠিকানা নেই। সিএবির ন্যাশনাল ক্রিকেট ক্লাবের ডরমেটরি আকাশের ঠিকানা। খাওয়ার জায়গা গোপাল শক্তিদার সিএবির ক্যান্টিন। বন্ধু সিএবির গ্রুপ ডি স্টাফ মৃণাল।সেই অনূর্ধ্ব-২৩-এর সময় থেকে এখানেই থাকেন আকাশদীপ।
আইপিএলে বিরাটের দলে খেলা কিংবা ইন্ডিয়ার হয়ে বিদেশ সফরের পরেও এখানেই এসে থেকেছেন আকাশদীপ। বাংলার বিভিন্ন অনূর্ধ্ব-২৩-এর ক্রিকেটাররা আকাশের বন্ধু। কারণ তাঁরাও এই ডরমেটরিতেই থাকেন। জুনিয়র ক্রিকেটারদের কথায়, আকাশদা আমাদের সঙ্গে সবসময় খেলা নিয়ে গল্প করত। বোলিং নিয়ে পরামর্শ দিত। কোনওদিন লেট নাইট করতে দেখিনি। আমাদের সঙ্গে বসেই ক্যান্টিনের সাধারণ চেয়ারে খাওয়া দাওয়া করত। আমরা যা খেতাম সেটাই খেত। মোবাইল খুব একটা ব্যবহার করত না। খেলা নিয়েই থাকত।
advertisement
ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার অরুণলালের কথায় আকাশের প্রতি আরও শ্রদ্ধা বাড়তে বাধ্য। অরুণলাল জানান, সিএবির ডরমেটরিগুলি অত্যাধিক আধুনিকমানের নয়। একটা বাথরুম, দলবেঁধে এক রুমে সবাই মিলে থাকা। একাধিক সমস্যা তো রয়েছে। তবে আকাশ কোনও দিন কোনও অভিযোগ করেনি। ও এখানেই থাকতে বেশি ভালবাসত।
আরও পড়ুন- বাড়বে গতি, দাঁড়াতে হবে না সিগন্যালে! লক্ষ লক্ষ যাত্রীদের জন্য বিরাট পদক্ষেপ রেলের, জানুন
সিএবির ক্যান্টিন চালান গোপাল ভূঁইয়া আর শক্তি ভূঁইয়া। শক্তি দা জানালেন, আকাশের খাওয়া অতি সাধারণ। কোনদিনও কোনও সময় কোনওরকম চাহিদা ছিল না।। ভাত কম খেত, তরকারি আর ডাল বেশি খেত। সবাই যা খেত ও তাই খেত। আমাদের সঙ্গে গল্প করত। নিজের দেশের বাড়ির কথা বলত। আর কী করে ক্রিকেটে সাফল্য পাওয়া যায় সেই স্বপ্নগুলো আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিত।
বাংলার কোচ সৌরশিস লাহিড়ী জানান, আইপিএল খেলে টাকা পাওয়ার পরওও বাড়ি কেনার ইচ্ছেপ্রকাশ করেনি আকাশ। মাঝেমধ্যে দু একজন বন্ধুর বাড়িতে থাকে। তবে সিএবি-তে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। আসলে আকাশ যতটা বড় মাপের ক্রিকেটার, তত বড় মাপের মানুষ। নিজের রুট ভুলে যায়নি।