সেই ভরত অরুণকে বোলিং কোচ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। দীর্ঘদিন ভারতীয় দলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। আইপিএল-এর কোনও দলে আসার কথা শোনা যাচ্ছিল। সেটাই সত্যি হল। কলকাতার দলে যোগ দিলেন তিনি। মহম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরাদের নিয়ে ভারতের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ গড়ে তোলার পিছনে ভরতের হাত রয়েছে।
advertisement
কলকাতা দল তাঁকে আনায় তাদের বোলিং আক্রমণ আরও শক্তিশালী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভরত বলেন, আমি খুব উত্তেজিত। নাইট রাইডার্সের মতো সফল একটা দলের বোলিং কোচ হতে পেরে দারুণ লাগছে। আইপিএল এবং অন্য টি- টোয়েন্টি লিগে নাইট রাইডার্স শুধু সফলই নয়, তাদের পেশাদারিত্ব মুগ্ধ করেছে আমায়। প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব রয়েছে ব্রেন্ডন ম্যাকালামের হাতে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ভরতের। আমার মনে হয় দলকে আরও শক্তিশালী করবে ও। দলের বোলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে ভরত। ভরতকে নাইট রাইডার্স সংসারে স্বাগত জানিয়েছেন কেকেআর দলের সিইও বেঙ্কি মাইসোর। তিনি বলেন, ভরতের মতো অভিজ্ঞ এবং দক্ষ একজন দলে আসায় আরও শক্তিশালী হব আমরা।
এবছর কলকাতা নাইট রাইডার্স যে চারজন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে তারা হলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার, বরুণ চক্রবর্তী, আন্দ্রে রাসেল এবং সুনীল নারিন। এছাড়া নিয়মের বেড়াজালে বেশিরভাগ ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। কিন্তু কেকেআর বরাবর তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়ার জন্য খ্যাতি আছে।
প্রসিদ কৃষ্ণ, শিবম মভিদের নিলাম থেকে আবার কিনে নিতে পারে নাইট রাইডার্স। এই দুজন তরুণ পেসার যথেষ্ট উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। প্রসিদ তো সিনিয়র জাতীয় দলে খেলে ফেলেছেন। পাশাপাশি আগামী দিনে ভারতীয় ক্রিকেট দল হিসেবে তৈরি করতে চাইছে ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে। সেক্ষেত্রে ভরত অরুণ একটা বড় ভূমিকা নিতে পারেন।