ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কিউইরা। ওপেনিং জুটিতে ভাল শুরু করেন রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়ং। বিশেষ করে রাচিন রবীন্দ্রর মারকাটারি ব্যাটিং চিন্তা বাড়িয়েছিল ভারতীয় দলের। কিন্তু ভারতীয় স্পিনাররা বোলিংয়ে আসতেই পাল্টে গেল ম্যাচের রং। কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তীর ভেলকিতে ম্যাচে ফেরে ভারত। ভারতীয় দলের ৪ স্পিনার নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের রানের গতিবেগ বাড়াতে দেননি। পুরো খাচাবন্দি হয়ে যান কিউই ব্যাটাররা। আঁটোসাটো বোলিং করেন রবীন্দ্র জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেল।
advertisement
কঠিন পিচে ড্যারিল মিচেল উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকেন। ৬৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া দলের হয়ে কিছুটা অবদান রাখেন রাচিন রবীন্দ্র, গ্লেন ফিলিপস ও মিচেস ব্রেসওয়েল। শেষের দিকে মারকাটারি ইনিংস খেলে হাফ সেঞ্চুরি করেন ব্রেসওয়েল। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান করে নিউজিল্যান্ড। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বরুণ ও কুলদীপ। একটি করে উইকেট নেন শামি ও জাদেজা
রান তাড়া করতে নেমে দুরন্ত শুরু করেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। রোহিত শুরু থেকেই মারকাটারি ব্যাটিং করেন। অপরদিকে, ঠান্ডা মাথায় রোহিতকে সঙ্গ দেন গিল। ৪১ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি করেন রোহিত। ওপেনিং জুটিতে শতরানের পার্টনারশিপ করেন রোহিত-গিল জুটি। একটা সময় মনে হচ্ছিল সহজ জয় পাবে ভারত। কিন্তু শুভমান গিল ৩১ ও বিরাট কোহলি ১ রানে আউট হতেই ম্যাচের রং পাল্টে যায়
রোহিত শর্মা একদিক থেকে ইনিংস চালিয়ে যান। তবে ব্যক্তিগত ৭৬ রানে বাজে শট সিলেকশন করে স্টাম্প আউট হন রোহিত শর্মা। এরপর শ্রেয়স আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল ঠান্ডা মাথায় পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখে। তবে কিউই স্পিনারদের আঁটোসাটো বোলিংয়ে রানের গতি কমে যায়। ৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজনে। কিন্তু সেট হয়েও ব্যক্তিগত ৪৮ রানে আউট হয়ে ফ্যানেদের টেনশন বাড়িয়ে দেন শ্রেয়স আইয়ার।
আরও পড়ুনঃ Rohit Sharma: ফাইনালে হিটম্যান শো! বড় ম্যাচে রো-হিট, রেকর্ড গড়লেন শর্মাজি
শ্রেয়স আইয়ার আউট হওয়ার পর অক্ষর প্যাটেলও বেশি সময় ক্রিজে টিকতে পারেননি। ২৯ রান করে আউট হন অক্ষর। এরপর কেএল রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়া এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর। ৩৮ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে জয়ের দোরগোরায় নিয়ে যায় রাহুল-জাদেজা জুটি। ১৮ রান করে আউট হন জাদেজা। শেষে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দেন রাহুল-জাদেজা জুটি।