জল যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) নতুন অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে না’ও খেলতে পারেন হিটম্যান। তিনি বিশ্রাম চেয়েছেন। তা মঞ্জুর হলে কিউয়িদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেবেন লোকেশ রাহুল (KL Rahul)। দিন কয়েকের মধ্যে জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলীর (Selectors) সদস্যদের সঙ্গে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly) ও সচিব জয় শাহ ভার্চুয়াল মিটিং করবেন। সেখানে বিরাট কোহলির নেতৃত্ব নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হতে পারে।
advertisement
টি-২০’র দায়িত্ব ছাড়লেও কোহলি কিন্তু একদিনের ফরম্যাটে (ODI Format) অধিনায়ক আছেন। মরুদেশে মেগা টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর তাঁর উপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না বোর্ড কর্তারা।শোনা যাচ্ছে, একদিনের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে বিরাটকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। যদিও সেই সিদ্ধান্ত আসন্ন মিটিংয়ে নেওয়া হবে কিনা তা বলা কঠিন। কারণ, আপাতত ভারতীয় দলের কোনও দ্বিপাক্ষিক একদিনের সিরিজ নেই।
তাই সৌরভরা হয়তো ধীরে চল নীতি নিতে পারেন। তবে বোর্ড কর্তাদের একাংশ চাইছে, এখন থেকেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে (ওডিআই এবং টি-২০) রোহিতকেই নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হোক। যাতে আগামী বছর কুড়ির বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ সালে ৫০-৫০ বিশ্বকাপের (2023 ODI World Cup) প্রস্তুতিতে কোনও খামতি না থাকে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ দলে সুযোগ পেতে পারেন চেন্নাই সুপার কিংসের ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad) , তরুণ পেসার আভেশ খানের মতো তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা। বাদ পড়তে পারেন হার্দিক পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বাঁহাতি ওপেনার বেঙ্কটেশ আয়ারের নামও আলোচনায় রয়েছে।
কিছু বিশ্বস্ত সূত্রের খবর ছিল এমনিতে নাকি ভারতীয় ড্রেসিংরুমে বিরাট কোহলির সঙ্গে কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এমনকি ইংল্যান্ড সফরে রবি অশ্বিন নাকি বিরাটের বিরুদ্ধে খুব জানিয়েছিলেন ম্যানেজারকে। তবে এসব ঘটনা না রটনা, কোনও প্রমাণ নেই। তাছাড়া অধিনায়ক হিসেবে অনেক সুযোগ পেয়েও বিরাট এবং রবি শাস্ত্রী জুটি দেশকে একটিও আইসিসি ট্রফি (ICC Tournament) এনে দিতে পারেননি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে কম সুযোগ পাননি অধিনায়ক হিসেবে।
কিন্তু বিসিসিআই চাইছে দলের ওপর এর যেন কোনো প্রভাব না পড়ে। ক্রিকেটে একজন অধিনায়ক বড় ব্যাপার। যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অধিনায়ক হিসেবে দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিলেন, তাঁকে স্বয়ং দল থেকে বাদ পড়ে আবার লড়াই করে ঢুকতে হয়েছিল। ভারতীয় অধিনায়কের পদ কোনও সরকারি চাকরি নয়। পারফরম্যান্স ছাড়া মূল্যহীন। বিরাট কী দেওয়াল লিখন পড়তে পারছেন?