বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে ধুন্ধুমার লড়াই দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট দুনিয়া। এবারের বিশ্বকাপে বড় অঘটন অবশ্যই গ্রুপ পর্ব থেকে ‘টিম ইন্ডিয়া’র বিদায়, যা কিছুটা অপ্রত্যাশিতই ছিল। বিরাট কোহলিদের পদস্খলন শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ থেকেই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে প্রথমবার বিশ্বকাপের মঞ্চে বশ মানিয়ে বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছিলেন শাহিন আফ্রিদিরা। আর তাঁরা পিছন ফিরে তাকাননি। গ্রুপ পর্বের সবক’টি ম্যাচ জিতে শেষ চারে উঠেছে।
advertisement
ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং-- তিন বিভাগেই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন পাক ক্রিকেটাররা। তবে নক-আউট পর্বের লড়াই একেবারেই আলাদা। প্রবল চাপ নিয়ে সেরাটা মেলে ধরতে হয়। তাই এখন দেখার, পাকিস্তানের জয়যাত্রা বজায় থাকে কিনা। অন্যদিকে, পাঁচবারের ওয়ান ডে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে টি-২০ বিশ্বকাপ আজও অধরা। সেই আক্ষেপ মেটাতে মরিয়া ফিঞ্চ বাহিনী। অস্ট্রেলিয়ার অবস্থা খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো। একবার যখন সেমি ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে তারা, তখন পাকিস্তানের কাছে লড়াইটা মোটেও সহজ নয়।
বিশেষ করে নকআউট ইতিহাসে আজ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। সেই ট্রেন্ড বজায় থাকে কিনা দেখার দুবাইয়ের মাঠে। ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ান জ্বরের জন্য অনিশ্চিত। একই কারণে খেলার সম্ভাবনা খুবই কম শোয়েব মালিকেরও। তাঁদের জায়গায় দলে আসতে পারেন সরফরাজ আমেদ ও হায়দর আলি। তিন নম্বরে নামতে পারেন ফখর জামান। মিডল অর্ডারে দলকে ভরসা জোগাচ্ছেন মহম্মদ হাফিজ। তবে তাঁর সামান্য চোট রয়েছে।
ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের জন্য সুনাম রয়েছে আসিফ আলির। শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ দুই ফাস্ট বোলার ছন্দে রয়েছেন। স্পিনার হিসেবে ইমাদ ওয়াসিম এবং শাদাব খান বেশ কৃপণ। তাছাড়া বর্তমান ফর্মের বিচারে এগিয়ে পাকিস্তান। কিন্তু মহান অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে আগে থেকে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। তাই ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোন দল টিকিট পায় সেটা জানার জন্য আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা।