নামিবিয়া - ১৪৪/৫
পাকিস্তান জয়ী ৪৫ রানে
#আবুধাবি: কথায় বলে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে পরিশ্রম করার পাশাপাশি কিছুটা ভাগ্য থাকাও দরকার। পাকিস্তানের এবারের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুটোই আছে। টস জিতে বাবর আজম এদিন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন। নামিবিয়ার মত দুর্বল দলের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয় পেতে বিশেষ অসুবিধা হবে না, সেটা জানাই ছিল। ভারত, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তানকে হারিয়ে দুরন্ত ছন্দে থাকা পাকিস্তান আজ দুধের শিশু নামিবিয়াকে উড়িয়ে দেবে সেটা বোঝার জন্য ক্রিকেট পন্ডিত হওয়ার দরকার ছিল না।
advertisement
বাবর এবং রিজওয়ান ওপেনিং জুটিতে ১১৩ রান তোলেন। ৭০ করে বাবর ফিরে গেলেন। কিন্তু যতক্ষণ ছিলেন পাক অধিনায়ক নিজের স্বপ্নের ফর্ম বজায় রাখলেন। ছক্কা না মারলেও, মারলেন সাতটি বাউন্ডারি।ফখর জামান ৫ করে ফিরে গেলেন। কিন্তু মহম্মদ হাফিজ একটা দুরন্ত ইনিংস খেলেন। ১৬ বলে ৩২ করলেন দ্রুত গতিতে। অন্যদিকে রিজওয়ান এদিন একটু শ্লথ শুরু করলেও, পুষিয়ে দিলেন শেষদিকে। ৭৯ রানের ইনিংস সাজানো ছিল আট বাউন্ডারি এবং চারটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। শেষ ওভারে ২৪ রান নিলেন পাক উইকেট রক্ষক।
১৮৯ রান তোলে পাকিস্তান। রান তাড়া করতে নেমে ৪ রানের মাথায় হাসান আলির বলে বোল্ড হলেন মাইকেল ভ্যান। ভাল খেলছিলেন স্টিফেন বার্ড। কিন্তু রান আউট হয়ে গেলেন ২৯ রানের মাথায়। কিন্তু উইলিয়ামস এবং ইরাসমস আত্মসমর্পণ করেননি। লড়াই চালাতে থাকেন। বিশেষ করে উইলিয়ামস। কিন্তু শাদাব খান, হ্যারিস রউফরা মাঝের ওভারগুলো নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেন। ইরাসমস ১৫ করে ফিরলেন ইমাদের বলে। উইলিয়ামস মারতে গিয়ে লং অফ ক্যাচ দিলেন ৪০ করে। এরপর ম্যাচটা পাকিস্তানের জেতা ছিল সময়ের অপেক্ষা।
স্বপ্নের ছন্দে আছে দল। দুরন্ত গতিতে ছুটছে। পাকিস্তানের বিজয়রথ করার আটকাতে পারে সেটাই বড় প্রশ্ন? তিনটি বিভাগেই কমপ্লিট পারফরম্যান্স। সবচেয়ে বড় কথা, গোটা দলটা মরিয়া হয়ে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান থেকে পিসিবি চেয়ারম্যান রামিজ রাজা, দেশ ছাড়ার আগে বাবর, শাহিন, ফখর জামানদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেছিলেন। ক্রিকেট বিশ্বে পাকিস্তান যে এখনও একটা শক্তি, সেটা প্রমাণ করতে বলেছিলেন। সেই দাওয়াই কাজে লেগেছে।
ভিসা এবং স্মিট উইকেটে টিকে থাকা ছাড়া কিছু করতে পারলেন না।ভিসা করলেন ৪৩ রান। কিন্তু তাতে লাভ হওয়ার ছিল না। ম্যাচটা পাকিস্তান জিতে নিল। চারটে ম্যাচ খেলে, চারটে জয়। সেমিফাইনালে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে।মহান অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে কিছু বলা যায় না। কিন্তু এই পাকিস্তান দলটাকে চ্যাম্পিয়নের মতই দেখাচ্ছে।