গতকাল আবুধাবিতে দুরন্ত ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে তিনি তুলেছেন ফাইনালে। মিচেলের জন্য দিনটি আরও স্মরণীয় হয়ে থাকার কারণ, কাল গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা জন মিচেল এবং মা জুলি মিচেল। ছিলেন দিদি। মিচেলের বাবা জন কিন্তু কোনো সাধারণ মানুষ নন। আন্তর্জাতিক রাগবি পরিমণ্ডলে তার অবাধ বিচরণ। খেলোয়াড়ি জীবনে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। এরপর নিউজিল্যান্ডের কোচের ভূমিকায়ও তাকে দেখা গেছে।
advertisement
দেখা গেছে ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড এবং ডিফেন্স কোচ হিসেবে। বিখ্যাত বাবার উপস্থিতিতেই মিচেলের কালকের ইনিংসটি পেয়েছে বাড়তি কদর। মিচেল নিজেও খুব খুশি বাবার সামনে নিজের দেশকে স্মরণীয় এক জয় এনে দিতে পেরে। ম্যাচের পর তাই খুব গর্ববোধ করেই এই ওপেনিং ব্যাটার বলছিলেন, এই করোনার মধ্যে অনেক দূর পথ পাড়ি দিয়ে আমার খেলা দেখতে বাবা এখানে এসেছেন। এই মুহূর্ত অবশ্যই গর্বের।
কিছুদিন আগে ইংল্যান্ড রাগবি দলের দায়িত্ব ছাড়লেও, সেখানেই ছিলেন জন। তবে ছেলের খেলা দেখার জন্য স্ত্রী জুলির সঙ্গে হঠাৎ পরিকল্পনা করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসা তার। আর বাবা-মায়ের সামনে এমন অনবদ্য ইনিংস খেলতে পেরে খুব খুশি মিচেল। তবে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে না পারা একটু কষ্টও দিচ্ছে তাকে।
মিচেল বলেছেন, ইংল্যান্ড থেকে এখানে আসা খুব চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে এই করোনার সময়ে। আর বায়ো-বাবলে থাকার জন্য আমি তার (জন) সঙ্গে দেখা করতে পারব না বটে। কিন্তু নিশ্চিত তার সঙ্গে আমার ফোনে কথা হবে এবং সে খুব প্রফুল্ল হবে। ড্যারিল যে ৭২ রানের ইনিংস খেলেছেন, সেটা প্রয়োজন হলে ফাইনালেও খেলতে চান। দীর্ঘদেহী হওয়ার পাশাপাশি শক্তিশালী হিটারও বটে! পুরো নিউজিল্যান্ড দলটা এবার চাকা ঘোরাতে মরিয়া। কোন সুপারস্টার নেই। অথচ এগারোজন টিম ম্যান রয়েছে। এটাই পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে।