বেটওয়েকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিটারসেন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হাতেই আমি শিরোপা দেখছি। বাঁচা-মরার ম্যাচে কীভাবে জ্বলে উঠতে হয় অস্ট্রেলিয়া সেটা ভাল করেই জানে। বড় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে গেলে তারা যেন অতিরিক্ত উদ্দীপনা খুঁজে পায়। অস্ট্রেলিয়া জানে ফাইনাল কিভাবে খেলতে হয়। নিউজিল্যান্ড খুব ভাল দল। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।’
advertisement
পিটারসেন এখানে উদাহরণ হিসেবে টানেন ডেভিড ওয়ার্নারের কথা। ইংলিশ ব্যাটারের বক্তব্য, ‘আইপিএলে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তাকে (ওয়ার্নার) সানরাইজার্স হায়দরাবাদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তবে বিশ্বকাপ আসতেই সে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দলের প্রয়োজনে সে তার সেরা পারফরম্যান্সটা দেখাচ্ছে।’ পিটারসেনের মতে, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ফাইনালে নিউজিল্যান্ড কখনও পাত্তাই পায় না।
প্রাক্তন ইংলিশ ব্যাটারের বক্তব্য, ‘এরা ফাইনালে মুখোমুখি হলে একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অজিদের কাছে কিউইরা স্রেফ উড়ে গিয়েছিল। তাই অস্ট্রেলিয়া শিরোপা জিতলে আমি মোটেও অবাক হব না।’ খুব একটা ভুল বলেননি পিটারসেন।
হয়তো আজ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘরে তুলতে পারেনি। কিন্তু একদিনের বিশ্বকাপে তারা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন। ধারেপাশে কেউ নেই। ফুটবলের জার্মানি আর ক্রিকেটের অস্ট্রেলিয়া অনেকটা একরকম। নকআউটে পৌঁছে গেলে সাধারণত চ্যাম্পিয়ন না হয়ে ফেরে না।উইলিয়ামসন, গাপটিল, মিচেল, বোল্টদের নিউজিল্যান্ড দলটা এবার চাকা ঘোরাতে পারে। কিন্তু ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার ওপর বাজি ধরবে না এমন ক্রিকেট পন্ডিত খুঁজে পাওয়া যাবে না।