#দুবাই: দুই দলের জন্য একই সমীকরণ। জিতলেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল টিকিট ‘প্রায় নিশ্চিত’। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া সেই সমীকরণ মেলাতেই আজ মাঠে নেমেছিল। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া লড়াই মানেই অন্যরকম এক আবহ। আর ম্যাচটি যদি বিশ্বকাপের হয় তবে তো কথাই নেই! এদিকে, মর্যাদার সেই লড়াইয়ে নামার আগে প্রস্তুত ইংল্যান্ড, প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া। সুপার টুয়েলভে দুই দলই জিতেছে দুটি করে ম্যাচ। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকেই আজ তাই মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া।
advertisement
শক্তির তারতম্যে কোনো দল পিছিয়ে না থাকলেও, মুখোমুখি দেখায় কিন্তু এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ড যেখানে অজিদের বিপক্ষে ৮ জয় পেয়েছে, সেখানে ইংলিশদের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার জয় ১০ ম্যাচে। বাকি দুই ম্যাচের একটি ভেস্তে গিয়েছিল, আরেকটি হয়েছিল টাই। টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিলেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। দ্বিতীয় ওভারেই ক্রিস ওকস ফিরিয়ে দিলেন ডেভিড ওয়ার্নারকে। মাত্র ১ করে আউট ওয়ার্নার। এলেন স্টিভ স্মিথ। কিন্তু জর্ডান ফিরিয়ে দিলেন স্মিথকে। মিড অনে দুরন্ত ক্যাচ নিলেন ওকস। প্রথমেই দুটো উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
চতুর্থ ওভারে এলবিডব্লিউ ম্যাক্সওয়েল (৬)। ঘাতকের নাম ক্রিস ওকস। তার সুইং সামাল দিতে পারছিলেন না অজি ব্যাটেররা। পাল্লা দিয়ে দুর্দান্ত বল করছিলেন জর্ডান। পাওয়ার প্লেতে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ২১/৩। সপ্তম ওভারে আদিল রশিদের গুগলি সামলাতে না পেরে এলবিডব্লিউ হলেন স্তোইনিস। খাতা না খুলেই ফিরে গেলেন অজি অলরাউন্ডার।
আদিল রশিদের গুগলি, রং ওয়ান বুঝতেও সমস্যা হচ্ছিল ফিঞ্চদের। ম্যাথু ওয়েড পর্যন্ত রান করতে পারছিলেন না। এমনকি পার্ট টাইম বোলার লিভিংস্টোন পর্যন্ত দারুণ বল করলেন। প্রথম ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৪১/৪। এরপর বল করতে এলেন টাইমাল মিলস। বলের গতি পরিবর্তন করে বারবার পরাস্ত করতে থাকলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের।
ম্যাথিউ ওয়েড ১৮ করে লিভিংস্টোন এর বলে আউট হলেন। আগার এসে রান করার চেষ্টা করলেন। ফিঞ্চ একটু কাউন্টার অ্যাটাক করার চেষ্টা করলেন। আগার ছক্কা মারলেন দুটি। মিলসের বলে ফিরলেন ২০ করে। প্যাট কামিন্স কয়েকটা ওভার বাউন্ডারি মেরে রান বাড়ানোর চেষ্টা করলেন। বোল্ড হলেন জর্ডানের বলে। ফিঞ্চ ফিরে গেলেন ৪৪ করে জর্ডানের বলে।