সাংবাদিক সম্মেলনে আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান ছিলেন সূর্যকুমার ও সালমানের মাঝে বসা। সূর্যকুমার অন্যান্য অধিনায়কদের সঙ্গে করমর্দন ও কোলাকুলি করলেও সালমানের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্য বিনিময় না করেই মঞ্চ ত্যাগ করেন। একইভাবে সালমান আগার দ্রুত মঞ্চ থেকে নেমে যান। দুই দলের এই শীতল সম্পর্ক আসন্ন হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
advertisement
ভারত তাদের এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করবে বুধবার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে। তবে সকলের নজর এখন রবিবারের সেই উত্তেজনাপূর্ণ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিকে। যেখানে মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি মানসিক লড়াইও দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগ্রাসন নিয়ে দুই অধিনায়কই নিজেদের মতামত স্পষ্ট করেছেন। সূর্যকুমার বলেন, “আগ্রাসন ছাড়া এই খেলা খেলা যায় না,” অন্যদিকে সালমান বলেন, “প্রত্যেক খেলোয়াড়ের নিজস্ব স্টাইল আছে, কেউ আগ্রাসী হলে সেটি স্বাভাবিক।” দুই অধিনায়কের এমন মন্তব্য ম্যাচের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
সূর্যকুমার যাদব বলেন, “মেজাজ? স্যার, মাঠে নামার পর আগ্রাসন থাকবেই। আর আগ্রাসন ছাড়া এই খেলাটা খেলা যায় না। আমি দারুণ উত্তেজিত সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে।” পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগাও একই ধরনের মত প্রকাশ করে বলেন,“আসলে খেলোয়াড়দের কিছু বলার প্রয়োজন নেই। প্রত্যেকে আলাদা ধরনের মানুষ। কেউ যদি মাঠে আগ্রাসী হতে চায়, তারা সেটা করতেই পারে। বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের ক্ষেত্রে আগ্রাসন তো সবসময়ই থাকে।”
সবমিলিয়ে, মাঠের বাইরের আচরণ, মন্তব্য এবং উত্তেজনা দেখে অনুমান করা যাচ্ছে, রবিবারের ম্যাচ শুধুমাত্র একটি খেলা নয়, বরং দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের সম্মান ও আত্মমর্যাদার লড়াই হয়ে উঠেছে। এখন দেখার ২২ গজের লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসে।