কিন্তু ভারত জিতলেও অধিনায়ক বিরাট কোহলির ব্যাট সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি। আরও একটা বছর শেষ হল শতরান ছাড়া। সেই ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কলকাতায় শেষবার টেস্ট শতরান করেছিলেন বিরাট। ভারতের প্রাক্তন কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকার একটা ছোট্ট উপদেশ দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন কোহলিকে।
advertisement
গাভাসকার মনে করেন বিরাটের উচিত নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সচিনকে ফোন করা। কথায় কথায় জেনে নেওয়া কোথায় ভুল হচ্ছে ব্যাটিংয়ে। সানি মনে করেন ২০০৩-০৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে বারবার ব্যর্থ হয়েছিলেন সচিন। অবশেষে সিডনিতে শেষ টেস্ট ম্যাচে দুরন্ত ডবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। সেই ইনিংসে একবারও অফস্টাম্পের বাইরে শট খেলেননি সচিন।
নয় সোজা, না হয় অন সাইডে খেলেছিলেন যাবতীয় শট। ফল পেয়েছিলেন হাতেনাতে। গাভাসকার মনে করেন বিরাট কোহলি ভারতীয় ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ। ভারতকে সিরিজ জিততে হলে দ্রুত বড় রান করতে হবে বিরাটকে। কারণ তার পারফরম্যান্স নজরে থাকবে বোর্ড কর্তাদের। সচিনকে জিজ্ঞেস করলে বিরাটকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন মাস্টার ব্লাস্টার।
দক্ষিণ আফ্রিকায় শতরান ছিল সচিনের। অতীতে বিরাটও শতরান করেছিলেন সেঞ্চুরিয়নে। ডানহাতি ব্যাটসম্যান হওয়ায় সচিন বিরাটের সমস্যা সমাধান করে দেবেন মনে করেন গাভাসকার। দুটো ইনিংসে ৩৫ এবং ১৮ বিরাট কোহলির মতো ব্যাটসম্যানকে মানায় না। সবচেয়ে জঘন্য অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে আউট হচ্ছেন। একই ভুল দ্রুত ঠিক করতে হবে ভারত অধিনায়ককে।
ইতিমধ্যেই সাদা বলের ক্রিকেটে আর অধিনায়ক নন কোহলি। শুধু টেস্টে অধিনায়ক। তাই চাপ আগের থেকে কম। পাশাপাশি বিরাট শুধু ব্যাটসম্যান। বোলার বা কিপার নন। তাই অধিনায়কত্বের পাশাপাশি তার ব্যাট থেকেও নির্বাচকরা বড় ইনিংস আশা করেন। সচিনই হতে পারেন এক্ষেত্রে বিরাটের মুশকিল আসান।