আফগানিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের ওপরে নিজেদের রানরেট নিয়ে যেতে হলে এই ম্যাচটা ৭.১ ওভারেই শেষ করে দিতে হত ভারতকে। ইনিংসে বিরতির সময় দেখা গেল একটা কাগজ নিয়ে রবি শাস্ত্রী, মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিক্রম রাঠোর আলোচনা করছেন। মোটামুটি ওভারে ১৩ করে প্রয়োজন ছিল ভারতের। কে এল রাহুল এবং রোহিত শর্মা আক্রমনাত্মক ছন্দেই শুরু করলেন। প্রথম দুই ওভারে ভারতের রান ছিল ২৩/০। তৃতীয় ওভারে ৩৯/০ ভারত। স্কটিশ বোলারদের প্রথম থেকেই খুন করার মানসিকতা নিয়ে নেমেছিলেন ভারতের ওপেনার রোহিত এবং রাহুল। বল পড়লেই মাঠের বাইরে যাচ্ছিল।
advertisement
রোহিত এবং রাহুল যখন ফিরে গেলেন বিশেষ কিছু করার ছিল না বিরাট কোহলি এবং সূর্য কুমারের। ম্যাচটা ৮১ বল বাকি থাকতেই শেষ করে দিল ভারত। রান রেট নিয়ে চলে গেল আফগানিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের ওপরে। টিম ইন্ডিয়ার রান রেট এই মুহূর্তে +১.৬১৯। নিউজিল্যান্ডের +১.২৭৭, আফগানদের +১.৪৮১। এখানেই স্বপ্ন দেখছেন সুনীল গাভাসকার। ভারতের কিংবদন্তি ওপেনার বলছেন তার মনে হচ্ছে ভাগ্যের চাকা কিছুটা হলেও ঘুরতে শুরু করেছে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যদি পায়ের তলার মাটি খুঁজে পেয়ে থাকে ভারত, আজ স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে সেই মাটি খানিকটা শক্ত হয়েছে। নামিবিয়ার বিরুদ্ধেও একইরকম আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে ভারতকে। কিন্তু তাও চেয়ে থাকতে হবে নিউজিল্যান্ড এবং আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে। সানি মনে করেন রশিদ খান, নবিদের পাশাপাশি সেদিন যে কোনও মূল্যে মজিবর রহমানকে খেলানো উচিত।
রহস্য স্পিনার মুজিব মাঠে নামলে রান করা সহজ হবে না উইলিয়ামসন, গাপটিলদের পক্ষে। গাভাসকার বলছেন স্বপ্ন বেঁচে আছে ভারতের। এখন সমগ্র দেশবাসী রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আফগানদের জয় চাইবে। ক্রিকেট ঐতিহ্যও বা ইতিহাসে দুটো দলের তুলনা চলে না।
আজও নামিবিয়াকে হারিয়ে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু গাভাসকার মনে করেন স্বপ্ন দেখতে দোষ কোথায়। হতেও পারে আফগানরা সেদিন নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলল। হতেও পারে ভারত সেমিফাইনালের দরজায় পৌঁছে গেল। প্রার্থনা এবং প্রচেষ্টাই এখন সম্বল বিরাট কোহলির দলের।