দীর্ঘদিন ছন্দে নেই চেতেশ্বর পুজারা এবং অজিঙ্ক রহাণে। তাঁদের আউট হওয়ার ধরন নিয়েও কটাক্ষ করছিলেন সমালোচকরা। কিন্তু দল তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কঠিন সফরে কোনও তরুণ নয়, অভিজ্ঞ পুজারা, রহাণেকেই বেছে নিয়েছে ভারত। সুনীল গাভাসকরের মতে ওঁরা সেই ভরসার মান রেখেছে। জোহানেসবার্গে ভারত হেরে গেলেও তৃতীয় দিনের শুরুতে দ্রুত রান তুলে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে এনেছিলেন পুজারা এবং রহাণে।
advertisement
১১১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। গাভাসকর বলেন, ওদের অভিজ্ঞতার জন্য দল ওদের পাশে দাঁড়িয়েছে। অতীতে ওরা যে ধরনের ক্রিকেট খেলেছে, সেই জন্যই ওদের উপর ভরসা করা হয়েছে। সেটার মান রেখেছে পুজারা-রহাণে। ভারতের মাটিতে অভিষেক ম্যাচেই শতরান করেন শ্রেয়স আয়ার। ভারতীয় দলের সাজঘরে সুযোগের অপেক্ষায় বসে আছেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁদের বাদ দিয়ে অভিজ্ঞতার উপরেই ভরসা রেখেছেন রাহুল দ্রাবিড়রা।
সানি বলেন, কিছু কিছু সময় আমরা সিনিয়র ক্রিকেটারদের উপর একটু বেশিই আক্রমণাত্মক হয়ে যাই। আসলে প্রতিভাবান তরুণরা বসে রয়েছে যে। তাদের একটু আলোয় আসা দরকার বলে মনে হয়। কিন্তু যত দিন সিনিয়র ক্রিকেটাররা রয়েছে এবং খুব খারাপ ভাবে আউট না হচ্ছে, তত দিন ওদের সুযোগ পাওয়া উচিত বলেই মনে হয়। দ্বিতীয় টেস্টে খেলেননি বিরাট কোহলি।
প্রথমবার ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন লোকেশ রাহুল। গাভাসকার বলেন, এই প্রথমবার বিরাট না খেললেও ভারত হারল। সিডনিতে ড্র করেছিল। কিন্তু হারেনি কখনও। আমার মনে হয়ে ইনিংসের শুরুতে ডিন এলগার এক রানগুলো নিয়ে ভারতকে চাপে ফেলে দিয়েছিল। ভারত যদি ঠিক মতো ফিল্ডিং সাজাতে পারত তা হলে ওই রানগুলো আটকে দেওয়া যেত।
তবে আমি বলব এই টেস্টে ভারত হারেনি, দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়া করার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার শরীরী ভাষা অনেক বেশি পজেটিভ ছিল। যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছে অধিনায়ক এলগার। সারা শরীরে আঘাত খেয়েও ভয় পায়নি। সাহস নিয়ে মোকাবেলা করেছে ভারতীয় বোলারদের। ওর শতরান পাওয়া উচিত ছিল। পাশাপাশি গাভাসকার মনে করেন তৃতীয় টেস্টে কেপ টাউনে বৃষ্টি যদি বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে ভারত সিরিজ জয়ের ব্যাপারে ফেভারিট।