দেশের মাঠে টানা তিনটি ট্রফি (ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ও স্যাফ কাপ) জয়ের পর রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ভারত অধিনায়ক। দানা বাঁধছে রঙিন স্বপ্ন। সুনীলের কথায়, পাঁচ বছর পর র্যাঙ্কিংয়ে একশোর মধ্যে আসতে পেরেছি আমরা। তবে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। এখনও অনেক পথ চলা বাকি। এশিয়ার দলগুলির মধ্যে প্রথম দশে জায়গা করে নিতে হবে।
advertisement
সাহাল সামাদ, ছাংতে, গুরপ্রীতদের ভূয়সী প্রশংসা করার পাশাপাশি সতর্কও করে দিয়েছেন সুনীল। অধিনায়কের বার্তা, উচ্ছ্বাসে গা ভাসালে চলবে না। মাটিতে পা রেখে চলতে হবে। প্রতিটি পজিশনে আরও উন্নতি প্রয়োজন। সদ্য সমাপ্ত স্যাফ কাপের সর্বাধিক গোলদাতা সুনীল। শুধু তাই নয়। এই প্রতিযোগিতায় সব মিলিয়ে তাঁর গোল সংখ্যা ২৩। সেই সুবাদে মালদ্বীপের আলি আসফাকের সঙ্গে যুগ্মভাবে উপমহাদেশের সর্বাধিক স্কোরার এখন সুনীল।
তবে ব্যক্তিগত কীর্তি নয়, দলের সাফল্যই মূল মন্ত্র ভারতীয় ফুটবল আইকনের। তাঁর সাফ কথা, শক্তিশালী দেশের বিরুদ্ধে সামান্য সুযোগকেও কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য আক্রমণে আরও ধারাল হওয়া দরকার। আগামী বছরের গোড়ায় এএফসি এশিয়ান কাপে অংশ নেবে ভারত। গ্রুপ বি’তে অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান, সিরিয়ার মতো কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হওয়ার আগে দীর্ঘমেয়াদি শিবির চান সুনীল।
একইসঙ্গে, র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দেশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন টিম ইন্ডিয়ার স্বপ্নের সওদাগর। তাঁর বিশ্লেষণ, স্যাফ কাপে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশকে (লেবানন, কুয়েত) আমরা হারিয়েছি। এবার আরও শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেদের যাচাই করে নেওয়া দরকার। জাপান, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মুখোমুখি হলে নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।