তাকে ভারতীয় ফুটবলের আইকন বলা হয়, তাই ইমেজ বজায় রাখতেই এমনটা করতে হয়। দেশের জার্সি গায়ে তেরঙা উড়িয়েছেন। দেশের অধিনায়ক হয়েছেন। তবে ভোলেননি মোহনবাগানকে। আর মোহনবাগান দিবস’-র সন্ধ্যায় গঙ্গাপারের ক্লাবের তাঁবু মাতিয়ে তুললেন সেই সুনীল ছেত্রী। ক্লাবে হাজির থেকে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের হৃদকম্পন বাড়িয়ে তুললেন।
সেই সঙ্গে বাংলায় কথা বলে মোহনবাগান সমর্থকদের তো বটেই, আপামর বাঙালির মন জিতে নিলেন বর্তমানে পুরুষদের ফুটবলে বিশ্বের সর্বকালীন চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা। ভাঙা-ভাঙা বাংলায় আবার মজা করে সুনীল জানালেন, স্ত্রী সোনম বলে দিয়েছেন যে মোহনবাগান দিবসে বাংলায় কথা বলতে হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন চর্চা না থাকায় আগের মতো চটপট বাংলা বলতে পারেন না।
মজার ছলে হাসতে-হাসতে সুনীল বলে দেন, ওই টাইমে ভালো করে বাংলা বলতে পারতাম। ওই টাইমে গালাগালি খেতাম, বাংলা জানতাম। এখন ট্রেনিং শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রচুরদিন গালাগালি খাইনি। সোনম আমায় বলেছে যে ওখানে গিয়ে প্লিজ বাংলায় কথা বলতে চেষ্টা করবে। তাই পরবর্তী পাঁচ মিনিট আমি বাংলায় বলতে চেষ্টা করব। অনেক মোহনবাগান সমর্থক তাকে অনুরোধ করেছেন অবসর নেওয়ার আগে একবার সবুজ মেরুন জার্সি পড়তে। সেটা নিয়ে অবশ্য কথা দিতে পারেননি ক্যাপ্টেন ছেত্রী।