নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন শ্রীসন্থ। সেই পোস্টে তিনি অনুদান দেওয়ার ব্যাপারে একটি পরামর্শ দিয়েছেন। কী লেখা আছে সেই পরামর্শে! শ্রীসন্থ লিখেছেন, পিএম বা সিএম ফান্ডে যাঁরা ডোনেশন দিতে চাইছেন তাঁদের জন্য এই পরামর্শ। অনুদান দেওয়ার আগে আপনাদের আশেপাশে একটু তাকিয়ে নেবেন। কোথাও যদি কোনও আত্মীয়, বন্ধু, সহকর্মী, বাড়ির পরিচারিকা করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকে তা হলে তাঁকে সাহায্য করুন দয়া করে। সবার আগে তাদের আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়াটা জরুরি। কারণ একমাত্র আপনিই সেই সব মানুষদের কাছে আর্থিক সাহায্য নিয়ে পৌঁছতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু সেই সব প্রান্তিক মানুষদের কাছে অনুদান নিয়ে হাজির হতে পারবেন না।
advertisement
শ্রীসন্থের সেই পরামর্শ অনেকেরই খুব পছন্দ হয়েছে। পর পর দু'বছর করোনার ধাক্কায় দেশের অর্থনীতির জেরবার অবস্থা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে আর্থিক দুরাবস্থার মধ্যে পড়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের সাহায্য করতে না পারলে ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্রিকেটারদের অবদান অনস্বীকার্য। বিরাট কোহলি ও তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা তহবিল সংগ্রহে নেমেছেন। তাঁরাও এই দুঃসময়ে দু'কোটি টাকা করোনা মোকাবিলায় দান করেছেন। শিখর ধাওয়ান, জয়দেব উনাদকাট, পাঠান ব্রাদার্স, পান্ডিয়া ব্রাদার্সসহ বহু ক্রিকেটার করোনা মোকাবিলায় আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। বিদেশি তারকারাও ভারতকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে আর্থিক সাহায্য করেছেন।