এই জুটি গড়ে ওঠে নিখুঁত বোঝাপড়া ও আগ্রাসী মানসিকতার মেলবন্ধনে। মন্ধানা করেন ৪৮ বলে ৮০ রান, আর শেফালি খেলেন ৪৬ বলে ঝোড়ো ৭৯ রানের ইনিংস। শুরু থেকেই তাঁরা শ্রীলঙ্কার বোলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করেন এবং পাওয়ারপ্লেতেই ৬১ রান তুলে নেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রান তোলার গতি আরও বাড়তে থাকে।
১৬২ রানের এই পার্টনারশিপ মহিলাদের টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি। একই সঙ্গে এটি ভারতের প্রথম ১৫০ ছোঁয়া জুটি। এর আগে ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১৪৩ রানের রেকর্ডও ছিল মন্ধানা–শেফালির নামেই, যা এদিন তাঁরা নিজেরাই তাদের রেকর্ড ভেঙে দেন।
advertisement
দু’জন ওপেনার অল্প ব্যবধানে আউট হলেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত ভারতের নিয়ন্ত্রণে। সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগান রিচা ঘোষ। তাঁকে প্রমোট করে পাঠানো হলে তিনি মাত্র ১৬ বলে অপরাজিত ৪০ রান করে ইনিংসের শেষ ভাগে ঝড় তোলেন এবং ভারতকে ২২০-এর গণ্ডি অনায়াসে পার করান।
মিড-ইনিংস বিরতিতে মন্ধানা জানান, তাঁদের সাফল্যের চাবিকাঠি সহজ চিন্তাভাবনা। শাফালির স্বাভাবিক আগ্রাসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তরুণ এই ওপেনার এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিণত। কোন বোলারকে কখন আক্রমণ করতে হবে এবং পাওয়ারপ্লের পর কীভাবে ইনিংস সাজাতে হবে—এসব বিষয়ে শেফালির উন্নতি স্পষ্ট।
আরও পড়ুনঃ Abhishek Sharma: একের পর এক ৪৫টি ছক্কা! অভিষেক শর্মা যে কাণ্ড ঘটালেন, শোরগোল ক্রিকেট দুনিয়ায়
এই ম্যাচ ব্যক্তিগত কৃতিত্বের দিক থেকেও স্মরণীয়। শেফালি সিরিজে টানা তৃতীয় অর্ধশতরান করে টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশেষ নজির গড়েন। অন্যদিকে, স্মৃতি মান্ধানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে ইতিহাসে মাত্র চতুর্থ মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে নিজের নাম তুলে ধরেন।
