কেরিয়ারের প্রথম ওডিআই ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস কার্যত বিশ্বকাপে তাঁর রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে নামাতেও সিলমোহর দিল। ঈশান কিষানকে বাইরে রেখে তাঁর ওপেনিংয়ে নামা নিয়ে চর্চা চলছিল নানা মহলে। কারণ, কিছুদিন আগে দ্রুততম দ্বিশতরান করেছিলেন ঈশান। বুধবার নিজামের শহরে গিল অবশ্য বুঝিয়ে দিলেন যে তিনিও কম যান না!
advertisement
২৩ বছর বয়সি সেজন্যই বলেছেন, আমার কাছে এই ইনিংসের বিশাল গুরুত্ব। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচে বড় রানের সুযোগ হারিয়েছিলাম। ওই দুই ম্যাচে লম্বা ইনিংস খেলার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারিনি। কিউয়িদের বিরুদ্ধে তাই সেট হওয়ার পর ফোকাস ছিল একটাই, যতটা সম্ভব বেশি রান করতে হবে।
পরপর তিনটি ছয় মেরে দুশোর গণ্ডি পার করেন গিল। পুরুষদের একদিনের ম্যাচে সবচেয়ে কম বয়সে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন তিনি। যা আসে ২৩ বছর ১৩২ দিনে। পাশাপাশি, এই ঘরানায় হাজার রানও হয়ে গেল তাঁর। ক্রিকেট মহলের নজর কেড়েছে তাঁর ছক্কা হাঁকানোর ক্ষমতা। গিলের কথায়, হাত খুলে মারার জন্য ছটফট করছিলাম। কিন্তু নিয়মিত উইকেট পড়ছিল।
ড্রেসিং-রুমের নির্দেশ ছিল, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার। তাই মাঝেমধ্যে সতর্কতার সঙ্গে ব্যাট করেছি। ঠিক করেছিলাম শেষ পাঁচ ওভার চালিয়ে খেলব। কিন্তু ওয়াশিংটন সুন্দর আউট হয়ে যাওয়ায় আরও দু’ওভার ঝুঁকি না নেওয়ার বার্তা পেয়েছিলাম। শেষ তিন ওভারে তাই বড় শট নিয়েছি।
অন্তিম ১১ বলে তাঁর মারা ছয়টি ছক্কাতেই তা প্রতিফলিত।বাবা লখিন্দর সিং ও মেন্টর যুবরাজ সিংকে কৃতিত্ব দিয়েছেন গিল। তাঁর মতে, যুবি পাজি আমার মেন্টর। বড় ভাইয়ের মতো। ব্যাটিং নিয়ে সবসময় কথা হয় ওঁর সঙ্গে। আর শুরুতে বাবা ছিলেন আমার কোচ। এই দু’জনকে গর্বিত করতে পেরে আমি তৃপ্ত। শুভমন গিল মনে করেন যুবরাজের পরামর্শ তাকে সব সময় আলাদা আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আগ্রাসী থাকতে সাহায্য করেছে।
