এই দুর্যোগে পঞ্জাবের ২৩টি জেলার মধ্যে ১২টি মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে গুরদাসপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, হোশিয়ারপুর এবং অমৃতসর অন্যতম। সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী, সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে পাঠানকোটে (৬ জন)। এছাড়া অমৃতসর, হোশিয়ারপুর, লুধিয়ানা সহ কয়েকটি জেলা থেকেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ১৫,৬৮৮ জন মানুষকে ইতিমধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এই দুর্যোগে সমবেদনা জানিয়ে ক্রিকেটার শুবমান গিল এক্স-এ লিখেছেন, “বন্যায় আমার পঞ্জাবের বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে আমার মন ভেঙে গিয়েছে। পঞ্জাব সর্বদা যেকোনো প্রতিকূলতার চেয়ে শক্তিশালী থাকবে, এবং আমরা এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াব। আমার প্রার্থনা সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। আমার জনগণের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছি।”
advertisement
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সঙ্গে ফোনে কথা বলে রাজ্যকে সকল ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। পঞ্জাব সরকার ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হোশিয়ারপুরে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে জানান, এটি সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা এবং সরকার জনগণের পাশে আছে।