সেখানে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন তার চোখে ভারত এবং পাকিস্তানের ফাস্ট বোলারদের পার্থক্য। শোয়েব জানিয়েছেন সম্প্রতি ভারত বিশ্বমানের পেসার তুলে এনেছে। যে দলটা অতীতে ফাস্ট বোলার বলতে কিছুটা জাভাগাল শ্রীনাথ, প্রসাদ, অজিত আগরকার এবং পরবর্তীকালে জাহির খান, ইরফান পাঠানদের ওপর নির্ভর করত, সেই ভারত কমপক্ষে পাঁচ জন কোয়ালিটি ফাস্ট বোলার পেয়ে গিয়েছে।
advertisement
জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ, উমেশ যাদব, নবদীপ সাইনি - এরা প্রত্যেকেই ভাল ফাস্ট বোলার। যথেষ্ট প্রতিভাবান। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও সফল। কিন্তু ঘন্টায় ১৪০-১৪৫ গতির বেশি বল করতে পারেনা। অন্যদিকে পাকিস্তানের শাহিন, হ্যারিস রউফ, হাসান আলি ১৫০ কিলোমিটার এর কাছাকাছি বল করেন। হাসানের গতি তুলনায় কম।
কিন্তু ভারতীয় পেসারদের তুলনায় পাকিস্তানি পেসারদের মানসিকতা বেশি আক্রমনাত্মক এবং আগ্রাসী বলছেন শোয়েব। এর পেছনে নাকি পরিস্থিতি, পরিবেশ এবং খাওয়া-দাওয়ার বিরাট ভূমিকা রয়েছে। ক্রিকেট সংস্কৃতিতে দু'দেশের পার্থক্য রয়েছে চিরকাল। ঐতিহাসিক ভাবে পাকিস্তানে ফাস্ট বোলারদের প্রতি জোর দেওয়া হত বরাবর।
সেই সরফরাজ, ইমরান, সিকান্দার হয়ে ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস এবং তিনি নিজে। তারপর মহম্মদ আমির, আসিফ, জুনায়েদ খান - অজস্র জোরে বোলার উঠে এসেছে পাকিস্তান থেকে। শোয়েব জানিয়েছেন পাকিস্তানে নন ভেজ খাবার বেশি চলে। এমনিতেই লোকে ভারতের তুলনায় বেশি মাংসাশী। যদিও আধুনিক ডায়েট ননভেজ খাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ করে দিয়েছে, তবুও এর স্বাভাবিক একটা প্রভাব পাওয়া যায় পাকিস্তানি ফাস্ট বোলারদের ক্ষেত্রে।
শোয়েব মজা করে বলেছেন এই খাবার খেয়ে পাকিস্তানি ফাস্ট বোলাররা নিজেদের প্রায় সিংহের মত মনে করে। ম্যাচে সেভাবেই চড়াও হয় প্রতিপক্ষের ওপর। তিনি নিজেও মনে করেন আধুনিক ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ হলেও, রেড মিট খাওয়া ফাস্ট বোলারদের অত্যন্ত জরুরি। আসন্ন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তান ভাল করবে আশাবাদী রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস'।