স্ত্রীর বিরুদ্ধে শিখর ধাওয়ানের অভিযোগ ফ্যামিলি কোর্টের বিচারক হরিশ কুমার গ্রহণ করেছেন। কারণ তাঁরা আগেই জানিয়েছিল যে, এই অভিযোগ মিথ্যা কিনা, তা প্রমাণ করতে পারেননি আয়েষা। বিচারক গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, স্ত্রীর দ্বারা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শিখর ধাওয়ান। কারণ স্ত্রী অস্ট্রেলিয়ায় থাকার দরুন ‘লং ডিসটেন্স ম্যারেজ’-এ থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন শিখর। সেই সঙ্গে সন্তানকেও বাবার থেকে দূরে রেখেছিলেন আয়েষা।
advertisement
বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দেওয়ার সময় আদালত যা যা বলেছেন:
শিখর ধাওয়ানকে চরম যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে: নিজের আবেদনে ধাওয়ান দাবি করেছিলেন যে, তাঁর স্ত্রী ভারতে এসে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আসলে কেরিয়ারের কারণে তাঁর (শিখর) পক্ষে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে থাকা সম্ভব ছিল না। কিন্তু শীঘ্রই সেই প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে আসেন আয়েষা। কারণ তিনি তাঁর দুই মেয়ের কাস্টডি প্রাক্তন স্বামীর হাতে দিতে নারাজ ছিলেন।
আদালত জানিয়েছে যে, বিনা অপরাধে ধাওয়ানকে তীব্র মানসিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এমনকী বছরের পর বছর ধরে নিজের সন্তানের থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও তাঁর স্ত্রী এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিয়েছেন। বরং জানিয়েছেন যে, তিনি ভারতেই থাকতে চেয়েছেন। অবশ্য নিজের এই দাবির পক্ষে তিনি কনটেস্টও করেননি। আসলে আয়েষা এমন কাজ করেছেন, যার জন্য ধাওয়ানকে তীব্র যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। যার ফলে আবেদনকারীর পক্ষে নিজের বিয়ে বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
সন্তানের জন্য টাকা দেওয়ার চাপ, সম্পত্তি বিক্রয়:
ধাওয়ানের অবশ্য আরও অভিযোগ, তিনি অস্ট্রেলিয়ায় যে তিনটি সম্পত্তি কিনেছিলেন, তার মালিকানা দাবি করেছিলেন আয়েষা। তার মধ্যে একটি সম্পত্তির ৯৯ শতাংশের মালিকানা তিনি পেয়েছেন এবং বাকি দুই সম্পত্তির যৌথ মালিকানা রয়েছে তাঁর।
আদালত জানিয়েছে যে, এই অভিযোগ আদৌ সত্যি না মিথ্যা, তার পক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন আয়েষা। এমনকী তিনিও যে ওই সম্পত্তি কেনার জন্য অর্থ দিয়েছেন, তার প্রমাণও পেশ করতে পারেননি আয়েষা।
আদালত ধাওয়ানের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে যে, তাঁদের পুত্র এবং নিজের দুই কন্যার ভরণপোষণের জন্য টাকা-পয়সা দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন আয়েষা। অথচ দুই কন্যার ভরণপোষণের জন্য প্রথম স্বামীর থেকে অর্থ পান তিনি।
শিখর ধাওয়ানের অধিকার:
এর পাশাপাশি ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ায় যাতে ধাওয়ান নিজের ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তার জন্য তাঁকে অধিকার দিয়েছে আদালত। আয়েষাকে কোর্টের আরও আদেশ, স্কুলে ছুটি চলাকালীন পুত্রকে ভারতে আনতে হবে। যাতে সে ধাওয়ান এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে।