মাস দু’য়েক আগে শিখরকেই শ্রীলঙ্কা সফরে ক্যাপ্টেন করে পাঠানো হয়েছিল। শিখরের পারফরম্যান্সও বেশ ভালই ছিল। কিন্তু তারপরও শিখর বাদ পড়লেন! দিল্লির এই ওপেনারকে নাকি টিমই চায়নি। বরং টিম ম্যানেজমেন্টের ভোট গিয়েছে ঈশান কিষাণের দিকে। যা শোনা গেল, তাতে ওপেনারের স্লটে টিম আর খুব বেশি ভিড় বাড়াতে চাইছিল না।
আরও পড়ুন - East Bengal Tomislav : ইস্টবেঙ্গলে অস্ট্রেলিয়ান লিগ খেলা ডিফেন্ডার টমিস্লাভ
advertisement
বলা হয়, রোহিত শর্মা রয়েছেন। লোকেশ রাহুল আছেন। প্রয়োজনে বিরাট কোহলি নিজেও ওপেন করে দিতে পারবেন। বিরাট এর আগেও বেশ কিছু ম্যাচে ওপেন করেছেন। ফলে শিখরকে টিমে রাখার অর্থ একই ধরনের ব্যাটসম্যানের প্রাধান্য হয়ে যাবে দলে। তার চেয়ে মিডল অর্ডারে এমন কাউকে ভাবা হোক যে দ্রুত ক্যামিও ইনিংস খেলে ম্যাচের রং ঘুরিয়ে দিতে পারবেন। আইপিএলে ঈশানের পারফরম্যান্স খুব ভাল ছিল। পাঁচশোর উপর রান করেছিলেন। গড় ৫৭.৩৩। স্ট্রাইক রেট দেড়শোর কাছে। কয়েকটা ম্যাচে আবার স্ট্রাইক রেট প্রায় দু’শোর কাছাকাছি ছিল।
তাই ঠিক হয়, ঋষভের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসাবে বিশ্বকাপে ঈশানকেই পাঠানো হবে। মূলত মুম্বই ইন্ডিয়ানস দলের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে প্রাধান্য দেওয়ার ফলে বাদ পড়তে হয় শিখরকে। তবে অনেকে মনে করেন শিখর যেহেতু বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন, তাই তিনি থাকলে ওপেনিং কম্বিনেশন আরও গভীরতা বাড়ত।
সেই জায়গাটা ভারত সামলাতে পারে কিনা উত্তর দেবে সময়। আইপিএলে অবশ্য দিল্লির হয়ে খেলতে দেখা যাবে ধাওয়ানকে। নিজের ব্যক্তিগত জীবন এবং বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার ব্যাপারে অবশ্য একটি শব্দ খরচ করেননি গব্বর।