উইম্বলডন দেখে ফুরফুরে মেজাজে রবিবারই নিজের শহরে ফিরছেন শাস্ত্রী। তারপর সোমবার বসবেন বিনোদ রাইয়ের সঙ্গে। কী আশ্চর্য! একইদিনে ছুটি কাটিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরছেন বিরাট-রাজ। কিন্তু তারপর কী হবে ? একদম সেলিম-জাভেদের চিত্রনাট্য। শাস্ত্রীসাহেবই কথাটা পাড়বেন। জাহির যেমন আছে থাক, দুধভাত। টিম ইন্ডিয়ার কোর গ্রুপে সাপোর্ট স্টাফে ভরত অরুণকেই চাই। এখানেই শেষ নয়। আমচি মুম্বইয়ে দুই মাথার মিটিংয়েই ভিডিও কনফারেন্সেই ধরা হবে কাপ্তানকে। তিনি কোন দিকে ঝুঁকবেন, বুঝতে ফেলুদা-হোমস হওয়া কি খুব জরুরি ?
advertisement
এখানেই আসল প্রশ্নটা। বিনোদ রাই কী করবেন ? আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, গত কয়েকদিনের মত এবারেও তিনি ঝুঁকে পড়বেন পাল্লা ভারি লবির দিকেই। আর হাঁটতে হাঁটতে বোলিং কোচ হয়ে যাবেন ভরত। এক্সটেনশন বাঁধা বাঙ্গারের। বোর্ড বড়জোর দু-কলি জুড়ে দেবে পুরনো মেলের বয়ানে। তাহলে জাহির-দ্রাবিড়ের কী হবে ? আরে বাবা, ওঁরাও থাকবেন। কিন্তু শুধুই শো-পিস হিসেবে নয় তো ? এই আশঙ্কাতেই বোর্ডকে আগেভাগে মেল পাঠিয়েছিলেন সৌরভ। এখানেই না থেমে জাহিরকে বছরে দেড়শো দিন পাওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তাও সেরে রেখেছেন মহারাজ।
কস্মিনকালেও ভারতীয় ক্রিকেট দেখেনি এক-এক বিভাগে জোড়া সহকারী কোচ। কিন্তু শাস্ত্রী-কোহলি আঁতাতে এবার সেই বিলাসিতা দেখার সৌভাগ্য হবে। মুম্বই ক্রিকেটমহলে ওপেন সিক্রেট। আসলে পুরো স্ক্রিপ্টটাই সাজিয়ে দিয়েছেন তেণ্ডুলকর। পর্দার আড়াল থেকে তিনিই খেলছেন। কিন্তু আদালত নিযুক্ত প্রশাসকরা। যতই তাঁরা শুধু প্রশাসনিক দায়িত্ব পান, সুযোগ বুঝে বিন্দাস ঢুকে পড়েছেন ক্রিকেটের টেকনিক্যাল বিষয়ে। অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্টের গল্পটা সবাই জানেন। তবু অনেকেই যুক্তি দিচ্ছেন। দলটা যখন শাস্ত্রী-কোহলির, ওদেরই সহকারী বাছতে দেওয়া হোক। কিন্তু দ্রাবিড়-জাহিরের মাপের ইগো পারবেন শাস্ত্রী-কোহলির সংসারে মানিয়ে চলতে ? এই অপমানের পরও সৌরভ-লক্ষ্মণরা কী থাকবেন উপদেষ্টা কমিটিতে ? ই-মেলে বিনোদ রাইয়ের বিবেককে জাগ্রত করতে মরিয়া চেষ্টা করেছেন সৌরভরা। রাই মহাশয় কী মৌন ভেঙে প্রকাশ্যে আসবেন ? ব্যাখ্যা দেবেন ? না দিলে কিন্তু আগামী সপ্তাহেই একসঙ্গে ভেঙে পড়বে ভারতীয় ক্রিকেটের অনেক পুরনো বন্ধুত্ব। বদলে যাবে দীর্ঘদিনের অনেক সম্পর্ক।