তাই ডাচ কোচ এলকোর নাম শোনা গেলেও, তাকে নিয়ে আসা ঝামেলার মনে করেন অধিকাংশ কর্তা। কিন্তু যদি নিয়ে আসতেই হয় তাহলে সেটা দু এক দিনের ভিতরেই করতে হবে। কারণ কোয়ারেন্টাইন এবং জৈব সুরক্ষা বলয় ব্যাপার আছে। চেয়ার নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে এসসি ইস্টবেঙ্গলে অতীত হয়ে যেতে পারেন কোচ হোসে ম্যানুয়েল ডিয়াজ।
advertisement
বৃহস্পতিবার আইএসএলে হায়দরাবাদ এফসি’র বিরুদ্ধে খেলতে নামছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ইতিমধ্যেই সাতটি ম্যাচ খেললেও জয়ের দেখা নেই। ঝুলিতে মাত্র তিন পয়েন্ট। লিগ তালিকার সর্বশেষ স্থানে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে অরিন্দম-টমিস্লাভদের। এছাড়া ইস্টবেঙ্গল দলে একাধিক চোট-আঘাত।
লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট চাইছে, হাবাসের মতো ব্যর্থতার দায়ভার স্বীকার করে পদত্যাগ করুন ডিয়াজও। তাহলে ক্ষতিপূরণের টাকাটা বাঁচে। এমতাবস্থায় বছরের শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারালেও স্প্যানিশ কোচের চাকরি টিকবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। বৃহস্পতিবারের ম্যাচে হায়দরাবাদই ফেভারিট। ইস্টবেঙ্গল জিতলে তা অঘটন হিসেবেই চিহ্নিত হবে।
৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে চারমিনারের শহরের দলটির অবস্থান প্রথম চারে। তবে গত ম্যাচে এফসি গোয়ার কাছে আটকে গিয়েছে ম্যানুয়েল মারকুয়েজের দল। প্রতিটি ম্যাচের আগেই টিয়াপাখির মতো একই বুলি আওড়ে যাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ ম্যানুয়েল ডিয়াজ। কার্ড সমস্যায় বৃহস্পতিবার খেলতে পারবেন না অ্যাটাকার আন্তোনিও পেরোসেভিচ। তা নিয়ে চিন্তিত নন কোচ ডিয়াজ।
তাঁর সাফ কথা, পেরোসেভিচ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। কিন্তু ওই পজিশনে খেলার মতো হাওকিপ, ড্যানিয়েল চিমা ও বলবন্ত সিংরা রয়েছে। স্টপার ফ্রানজো পর্চের গোড়ালিতে চোট। তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই। ড্যারেন সিডোয়েল বুধবার অনুশীলন করলেও কোচ ডিয়াজ আশা করছেন, ৪ জানুয়ারি বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন এই মিডফিল্ডার।
হায়দরাবাদ এফসি’র গোলগেটার ওগবেচে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। পাঁচটি গোল করে তিনি বোমাস ও অ্যাঙ্গুলোর সঙ্গে গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। সব মিলিয়ে অতি বড় লাল হলুদ সমর্থকও জয়ের আশা দেখছেন না। এখন ড্র রাখতে পারলেই শান্তি তাদের। শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের ইনভেস্টর এবং কর্তাদের ইগোর লড়াইয়ের মাঝে পড়ে লজ্জা বাড়ছে সমর্থকদের। ক্লাবের সাফল্য নয়, নিজেদের অস্তিত্ব যাদের কাছে প্রধান।