নর্থইস্ট ইউনাইটেড -১
#গোয়া: সম্মান বাঁচানোর ম্যাচের আজ প্রথম থেকে ৪-৪-২ ফর্মেশনে দল নামিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও। প্রথম ১৫ মিনিট দাপট ছিল লাল হলুদ জার্সির। ম্যাচ শুরুর আগেই ওয়ার্ম আপ করার সময় চোট পেয়ে ছিটকে গেলেন সিডল। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ১ মিনিট আগে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন নর্থইস্টর সাহানেক। সূহেরের ক্রস থেকে বল পুশ করেন জালে। কিছুই করার ছিল না শংকর রায়ের। কিন্তু বিরতির পর আক্রমণের তেজ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল।
advertisement
৫৫ মিনিটের মাথায় ফ্রান্সিস্কোকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন ফ্লটম্যান। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান পেরোসোভিচ। হানামতের জায়গায় মার্সেলোকে, সৌরভের জায়গায় অংগু এবং রফিকের জায়গায় আদিল খানকে নিয়ে আসা হয়। নর্থইস্ট নামায় মার্সেলিনোকে। শেষ দিকে প্রায় গোল করার সুযোগ চলে এসেছিল নর্থইস্ট দলের কাছে। সুহের হেডে নিশানায় স্থির থাকতে পারেননি। অবশ্য প্রথমার্ধে মহেশের শট ক্রসপিস না লাগলে ইস্টবেঙ্গল গোল পেতে পারত।
১৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট হল ইস্টবেঙ্গলের। নর্থইস্ট শেষ করল ১৪ পয়েন্ট নিয়ে। শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে ইস্টবেঙ্গল হারালেও পৌঁছতে পারবে ১৪ পয়েন্ট। সেক্ষেত্রে দেখা হবে হেড টু হেড। প্রথম সাক্ষাতে নর্থইস্ট জিতেছিল ২-০ গোলে। সেক্ষেত্রে লিগ টেবিলে সবার নিচেই শেষ করবে লাল হলুদ।
আজকের আগে পর্যন্ত ১৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট ছিল মারিও রিভেরার দলের।
জয় মাত্র একটি ম্যাচে। ১০টিতে হার অরিন্দম-হীরাদের। লাল-হলুদের ঠিক আগেই ছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড। ১৯ ম্যাচে খালিদ জামিল-ব্রিগেডের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। প্রথম পর্বে এসসি ইস্ট বেঙ্গলকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল নর্থইস্ট। আইএসএল-এর বাকি দু’টি ম্যাচ এখন এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে স্রেফ নিয়মরক্ষার ছিল।
হারানোর কিছু নেই ইস্টবেঙ্গলের। সে ক্ষেত্রে কি কৌশল বদল বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটবেন কোচ? রিভেরা জানিয়েছিলেন শেষ দুটো ম্যাচে আমরা জেতার জন্য মরিয়া ছিলাম। আগামী ম্যাচগুলোতেও একই লক্ষ্যে মাঠে নামব আমরা। সব ম্যাচেই আমরা জিততে চাই। যথাসাধ্য চেষ্টা করব জেতার। কিন্তু জয় এল না। সন্তুষ্ট থাকতে হল একটি পয়েন্ট নিয়ে। সমর্থকদের জন্য লজ্জার লিগ টেবিলে সবার নিচে শেষ করা।