( মার্চেলা)
কেরালা ব্লাস্টার্স -১
( ভাসকুয়েজ )
#গোয়া: রবিবাসরীয় ম্যাচে ভাস্কোর তিলক ময়দানে এস সি ইস্টবেঙ্গল নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিতে পারে কিনা, সেটাই দেখার ছিল। চলতি আইএসএলে একমাত্র চেন্নাই এফসির বিপক্ষে ড্র করা ছাড়া বাকি সব ম্যাচ হেরেছে লাল হলুদ। তাই আজ মরিয়া হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে কেরালা ব্লাস্টার্সকে নক আউট করতে পারে কিনা শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব সেদিকে নজর ছিল সমর্থকদের। আজ অবশ্য প্রথম দলে ড্যানিয়েল চিমাকে রেখেছিলেন কোচ ডিয়াজ। কিন্তু ৬৭ মিনিট পর্যন্ত মাঠে থেকে কিছুই করতে পারেননি তিনি। সহজ বল রিসিভ করতে পারলেন না বেশ কয়েকবার। একটা ব্যাকভলি মারলেন, কিন্তু সেটা নিশানায় থাকেনি।
advertisement
প্রথমার্ধে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। রাজুর একটা লম্বা থরও থেকে হেডে কেরলের গোলরক্ষক গিলকে পরাস্ত করেন টমিসলভ মার্চেলা। দীর্ঘকায় ডিফেন্ডার বুদ্ধি করে বলটা ঘুরিয়ে দেন মাথা দিয়ে। ৪৪ মিনিটে অবশ্য গোল শোধ করে দেয় কেরল। আলভারো ভাসকুয়েজ জোরালো শট নেন বক্সের ওপর থেকে। বলটা মার্চেলার মাথায় লেগে জালে জড়িয়ে যায়। তবে গোল দেওয়া হয় কেরলের স্প্যানিশ স্ট্রাইকারকে।
তবে ইস্টবেঙ্গলের সেরা ফুটবলার পেরসেভিচ এদিনও দুটি দুরন্ত প্রয়াস ঘটিয়েছিলেন। তবে দুটোর ক্ষেত্রেই কেরলের গোলরক্ষক দুরন্ত সেভ করেন। ৭০ মিনিট এর আশেপাশে চিমার বদলে আমির দেরভিসেভিচ এবং অমরজিৎকে তুলে নিয়ে বিকাশ জাইরুকে নামানো হয়। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দুরন্ত গতিতে আক্রমণ তুলে আনল ইস্টবেঙ্গল। দেখে মনে হচ্ছিল এই প্রথমবার জয়ের মানসিকতা নিয়ে খেলতে দেখা যাচ্ছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে।
আরও পড়ুন - Abid Ali: নিজের খাবার খাইয়ে দিলেন বিড়ালকে! পাক ক্রিকেটারের মানবিকতায় মুগ্ধ অনেকে
সৌরভ দাস, মহেশ, হীরা মণ্ডলকে দেখে মনে হচ্ছিল আজ তিন পয়েন্টে নিয়েই ফিরতে মরিয়া তারা। কেরলের প্লেমেকার লুনা অবশ্য বল পেলেই চাপে রাখছিলেন লাল-হলুদ ডিফেন্সকে। আজ ম্যাচের সেরা উরুগুয়ের এই ফুটবলার। বদলি হিসেবে নামা কেরলের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার পেরেরা ৮৮ মিনিটে গোল করলেও, অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
এক মিনিট পরেই আবার গোলের সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। কিন্তু একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে পেরসেভিচের পা থেকে বল তুলে নেন কেরলের গোলরক্ষক গিল। সুযোগ অবশ্যই এসেছিল কেরলের সামনেও। কিন্তু বক্সের ভেতর স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা তাদের গোল পেতে দিল না। মাথা গরম করলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। কিন্তু কাজের কাজ করতে পারলেন না।
তবে আজ অন্তত ইস্টবেঙ্গলের খেলায় কিছুটা হলেও ঝাঁজ লক্ষ্য করা গিয়েছে। চেষ্টা ছিল গোল করার। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের মধ্যে পার্থক্য থাকে। সেটাই আবার হল দিনের শেষে। প্রথম তিন পয়েন্ট ধরা দিল না লাল হলুদের ঝুলিতে। একটি পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল। হাফ ডজন ম্যাচ শেষে তিন পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে ইস্টবেঙ্গল।