এস সি ইস্টবেঙ্গল - ০
#গোয়া: না কিছুই বদলাল না। যা হওয়ার তাই হল। আইএসএল লিগ তালিকার সর্বশেষ স্থানে থাকা ইস্টবেঙ্গল (North East United beat SC East Bengal) থাকল সবার নিচে। খালিদ জামিলের (Khalid Jamil) নর্থইস্ট এর কাছে হেরে আবার লজ্জা বাড়ল লাল হলুদ ব্রিগেডের। তবে এই পরাজয়ের জন্য ম্যানেজার ডিয়াজ (Manolo Diaz) আশি শতাংশ দায়ী। ভুল ফর্মেশন, প্রথম দল চয়ন এবং ভুল পরিবর্তন। প্রাক্তন রিয়েল মাদ্রিদ বি দলের কোচ এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিলেন যা আত্মহত্যার সামিল।
advertisement
ইস্টবেঙ্গল সর্মথকরা এখন প্রিয় দলের খেলা দেখতে বসেন মনকে শক্ত করে। জয় পাওয়ার ভাবনা দূর অস্ত। ম্যাচ ড্র রাখতে পারলেই তাদের কাছে অনেক। যেমন শেষ ম্যাচ এগিয়ে গিয়েও ড্র হয়েছিল কেরলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) মুখোমুখি লিগ তালিকায় দশ ও এগারো নম্বর স্থানে থাকা নর্থইস্ট ও এসসি ইস্টবেঙ্গল। সুতরাং, দুর্দান্ত ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল কম।
প্রতিযোগিতার প্রারম্ভিক পর্বে দু’টি দলই হতাশ করেছে। ১১টি দলের মধ্যে শুধুমাত্র নর্থইস্টের দায়িত্বেই ভারতীয় কোচ খালিদ জামিল। আজকের আগে পর্যন্ত চলতি প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত একটি মাত্র জয় পেয়েছিল তাঁর দল। ৬ ম্যাচে সংগ্রহ ছিল ৪ পয়েন্ট। লাল-হলুদের অবস্থা অবশ্য আরও খারাপ। ছ’টি ম্যাচ খেলে ফেললেও জয়ের দেখা নেই ম্যানুয়েল ডিয়াজ-ব্রিগেডে। তারা হেরেছিল তিনটি ম্যাচে। বাকি তিনটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
তবে শুক্রবার মরশুমের প্রথম জয় তুলে আনার সুবর্ণ সুযোগ ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলের সামনে। উল্লেখ্য, গত ম্যাচে হায়দরাবাদের কাছে ১-৫ ব্যবধানে হেরে নর্থইস্ট ফুটবলারদের মনোবল ছিল তলানিতে। দেখার ছিল, সেই সুযোগ কীভাবে নেন পেরেসোভিচরা? তবে দু’টি দলেরই রক্ষণ ভঙ্গুর। পরিসংখ্যান বলছে, আজকের আগে পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ১৩টি গোল হজম করেছিল নর্থ ইস্ট।
আর ইস্টবেঙ্গল সমসংখ্যাক ম্যাচে খেয়েছিল ১৫টি গোল। নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে নামার আগে অবশ্য জয়ের নিশ্চয়তা দিতে সাহস দেখাননি ইস্টবেঙ্গলের কোচ ম্যানুয়েজ ডিয়াজ। নর্থ-ইস্ট ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে স্বস্তির খবর, চোট সারিয়ে সুস্থ অধিনায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। গত তিনদিন তিনি পুরোদমে আজ প্রথম থেকে শুরু করলেন অরিন্দম।
প্রথমার্ধের নর্থইস্ট সেভাবে আক্রমণাত্মক না হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ করল। তাদের নির্ভরযোগ্য বিদেশি হারনান সন্টানা ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে চোটে বাইরে চলে যান। কিন্তু তাতে ভয় পায়নি খালিদের দল। সীমিত সামর্থ্য নিয়ে আক্রমণ চালাতে থাকে তারা। প্রথমার্ধেই ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার ফ্রানজ চোট পান। গোড়ালি ফুলে যায় তার। তুলে নিতে বাধ্য হন কোচ।
দ্বিতীয়ার্ধে মহেশের জায়গায় নামানো হয় বিকাশকে। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। উল্টে ৬০ মিনিটে গোল হজম করে লাল হলুদ। রাজুর ভুলের খেসারত দিতে হয়। বাঁদিক থেকে বল ফলো করে আসা সুহের বল জালে জড়াতে ভুল করেননি, কলকাতার দুই প্রধান খেলে যাওয়া কেরালার ফুটবলারটি।
প্রথমার্ধে সহজ সুযোগ এসেছিল অ্যান্টোনিও পেরোসেভিচ এবং ড্যানিয়েল চিমার সামনে। কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি কেউ। ক্ষমার অযোগ্য মিস করেন চিমা। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে পারেননি তিনি। ৬৫ মিনিটে রাজুকে তুলে নিয়ে আঙ্গুকে নামালেন লাল হলুদ কোচ মানলো ডিয়াজ।
চরম ভুলের দাম দিতে হল। ৬৮ মিনিটে ইমরানের ভাসিয়ে দেওয়া বল থেকে হেড করে ব্যবধান বাড়ালেন ফ্লটম্যান। এখানেই পরিষ্কার হয়ে গেল ম্যাচের ভাগ্য। শেষদিকে রেফারিকে ঠেলা মেরে লাল কার্ড দেখলেন পেরোসেভিচ।