শেষ ম্যাচে একদম শেষ লগ্নে জামশেদপুর এর কাছে হেরে গেলেও আগের দুটো ম্যাচে লড়াই করে ড্র করেছিল রেনেডির ইস্টবেঙ্গল। ফুটবলাররা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন চাকা ঘোরানো সম্ভব। অবশেষে নতুন স্প্যানিশ ম্যানেজার মারিও রিভেরা প্রমাণ করে দিলেন এই দল নিয়ে জয় পাওয়াও সম্ভব। গোয়ার মাঠে মরিয়া লড়াই, তার সঙ্গে কিছুটা সৌভাগ্য ইস্টবেঙ্গলকে তিন পয়েন্ট এনে দিল।
advertisement
জোড়া গোল করে লাল হলুদের নতুন নায়ক মহেশ সিং। ২২ বছরের মনিপুরী ফুটবলারটি যেন স্বপ্নের ঘোরের মধ্যে আছেন। চিমটি কেটে দেখছেন যা ঘটেছে, তা সত্যি কিনা। ম্যাচ শেষে মহেশকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল মিডিয়া দলের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিজ্ঞ মহম্মদ রফিক। এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ছিলেন রফিক। মহেশ সিং জানান দুটো গোল করতে পেরে তিনি খুশি। সবচেয়ে আনন্দ পেয়েছেন দল প্রথম জয় পেয়েছে বলে।
এতদিন গোলের কাছে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলতেন। রেনেডি এবং নতুন কোচ মারিও অনুশীলনে দেখিয়ে দিয়েছেন বক্সের ভেতর কিভাবে ফিনিশ করতে হবে। তাড়াহুড়ো নয়, বক্সের ভেতর মাথা ঠান্ডা রাখার আসল শিখিয়েছেন মারিও। তাই প্রথম গোল করার ক্ষেত্রে আনোয়ারকে শরীরে আড়াল করে বল জালে পাঠাতে ভুল হয়নি। আর দ্বিতীয় গোলটা একটু দূর থেকে বাপায়ের শট নেন। বল জালে না জড়ালেও লাইন অতিক্রম করে গিয়েছিল।
মহেশ বলেন রফিক সিনিয়র হিসেবে মোটিভেট করছিলেন তাঁকে। প্রয়োজনে নীচে নেমে দলকে সাহায্য করেছেন। হাতে রয়েছে বাকি ৮টি ম্যাচ। এভাবেই লড়ে যেতে চান কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে লোনে ইস্টবেঙ্গলে আসা ফুটবলারটি। জুনিয়র ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল লাজং এফসি - তে। তারপর শেষবার খেলেছিলেন দিল্লির সুদেবা এফসি - তে।
বড় ক্লাবের জার্সি বলতে ইস্টবেঙ্গল প্রথম। রফিক বলছেন একটা জয় পাওয়া প্রয়োজন ছিল। পুরো দল মুখিয়ে ছিল একটা জয়ের জন্য। আজ রাতে প্রথম শান্তিতে ঘুমোবেন। তবে সবচেয়ে খুশি সমর্থকদের কিছুটা আনন্দ দিতে পেরে। সোমবার ইস্টবেঙ্গলের লড়াই হায়দারাবাদের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মার্সেলো এবং স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সোটাকে পাওয়ার কথা লাল হলুদের।