দলের ভেতরে আত্মবিশ্বাসের অভাব যাতে না হয় এবং ডার্বি জয় সম্ভব, এই মনোভাব বজায় রাখতে চান তিনি। শনিবার ডার্বি জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এসসি ইস্ট বেঙ্গল স্টপার ফ্রানজো পর্চে। প্রথম ম্যাচে জামশেদপুর এফসি’র বিরুদ্ধে গোল করলেও জিততে পারেনি তাঁর দল। স্বাভাবিকভাবেই আক্ষেপ রয়েছে ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডারটির। ২৫ বছর বয়সি পর্চে বলেন, এর আগে সাইপ্রাসের ক্লাব এসি ওমানিয়ার হয়ে প্রথম ম্যাচে গোল করেছিলাম। দল জিতেওছিল।
advertisement
জামশেদপুরের বিরুদ্ধে অবশ্য ড্রয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল। তবে সেই ম্যাচ এখন অতীত। ডার্বিতে প্রতিটি বল দখলের লক্ষ্যে আমাদের ঝাঁপাতে হবে। আশা করছি, মর্যাদার ম্যাচ আমরাই জিতব। তারপর জয়ের উৎসবের অপেক্ষায় রয়েছি। ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার মনে করেন প্রথম ম্যাচ বলেই নিজেদের সেরা পারফর্মেন্স তুলে ধরতে পারেনি লাল হলুদ। কিন্তু মাঝে কয়েকটা দিন সময় পাওয়া গিয়েছে। এই বিরতি কাজে লাগাতে হবে। বোঝাপড়া থেকে শুরু করে বিপক্ষ দলের দুর্বলতা খুঁজে বের করা, ইস্টবেঙ্গলের টিম মিটিং সব আলোচনা হয়েছে।
সেট পিস কাজে লাগিয়ে গোল পেয়েছিল দল। আবার গোল হজম করতে হয়েছিল সেই সেট পিস থেকে। প্র্যাকটিসে এই ব্যাপারে আরও ঘষামাজা করা হয়েছে। এটিকে মোহনবাগানের মাঝমাঠ যাতে নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে না পারে, সেদিকে নজর রেখে ডার্বিতে ডাচ মিডফিল্ডার ড্যারেন সিডলকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। বিখ্যাত আয়াক্স ক্লাবের একাডেমী থেকে উঠে আসা এই ফুটবলার ইস্টবেঙ্গলকে ভরসা দিতে তৈরি।
আর একটা ব্যাপারে জোর দিচ্ছে লাল হলুদ। বলের দখল যতটা বেশি সম্ভব নিজেদের পায়ে রাখতে হবে। কারণ অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের দল প্রতি আক্রমনাত্মক নির্ভর ফুটবল খেলতে ভালোবাসে। গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য গতবছর ছিলেন মোহনবাগানে। ফলে রয় কৃষ্ণ, মনবীরদের সম্পর্কে ইনপুট তিনি দিচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলকে। গোলের নীচে অরিন্দম একটা ফ্যাক্টর হতে চলেছেন ডার্বিতে।