২০০০ সালের ত্রিদেশীয় ট্রফির ফাইনালে ভারতীয় দলকে মাত্র ৫৪ রানে অল-আউট করে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ২৩ বছর পর এশিয়া কাপের ফাইনালে সুদে-আসলে বদলা নিল ভারতীয় দল।
রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে মাত্র ৫০ রানে শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ করে দিলেন মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়ারা। হাসতে হাসতে এশিয়া কাপ ভারতের।
আরও পড়ুন- সৌরভকে বিশেষ উপহার মমতার! দেখার মতো স্টেডিয়ামে একসঙ্গে বাংলার দাদা-দিদি
advertisement
প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেটাই বুমেরাং হয়ে তাদের আঘাত করল। মহম্মদ সিরাজের আগুনে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারল না শ্রীলঙ্কা। মাত্র ৫০ রানে গুটিয়ে যায় তারা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইশান কিষাণ ও শুভমান গিল মাত্র ৬ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন। এদিন শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা ১০০ বলও খেলতে পারেননি। ৫০ ওভারের ম্যাচে মাত্র ৫০ রান করেন তারা।
এর আগে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৪৩ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংস। সেটাই এখনও পর্যন্ত একদিনের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার সব থেকে কম স্কোর। এদিন সেই লজ্জা তারা ঢাকল বটে! তবে এমন হার সত্যিই লজ্জাজনক।
এই ম্যাচে যেন জীবনের সেরা ফর্মে ছিলেন মহম্মদ সিরাজ। একদিনের ক্রিকেটে যুগ্মভাবে দ্রুততম পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়ে ফেললেন তিনি। একইসঙ্গে প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে এই ইতিহাস লিখলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে কোকাকোলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত এবং শ্রীলঙ্কা ম্যাচ হয়েছিল। সেদিন শারজায় প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৯৯ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা।
ওই ম্যাচে ১৬১ বলে ১৮৯ রান করেছিলেন সনৎ জয়সূর্য। সেই সময় তিনিই শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ছিলেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫৪ রানেই অল-আউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। তাও মাত্র ২৬.৩ ওভারে। রবিন সিং সর্বোচ্চ ১১ রান করেছিলেন। তিনি ছাড়া আর কোনও ভারতীয় ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি সেদিন।