কিভাবে দেশ এবং বিদেশের মাটিতে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দলকে সামাল দিয়েছেন দ্রাবিড় সেটা চোখের সামনে ভাসে। বহু ম্যাচ একার কৃতিত্বে ভারতকে বাঁচিয়েছেন রাহুল। সচিন, সৌরভ আউট হয়ে গিয়েছেন। প্রবল চাপে দল। রাহুল দ্রাবিড় ঠিক সামাল দিয়ে দিতেন। রোহিত শর্মা মনে করেন এটাই দ্রাবিড় সভ্যতা। ভাল পরিস্থিতিতে সকলেই ভাল করতে পারেন।
advertisement
কিন্তু প্রথম দিকের ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে গেলে, মিডল অর্ডার ( middle order) কিভাবে খেলাটা ধরবে, উইকেটে পড়ে থাকবে এবং পাল্টা লড়াই করবে। এটা শেখার জন্য রাহুল দ্রাবিড়ের থেকে ভাল কে হতে পারে? রোহিত বলছেন রাহুল ভাই কঠিন পরিস্থিতিকে সহজ করতে জানতেন। বাইশ গজে তার ব্যাট শুষে নিত বোলারদের যাবতীয় লড়াই। পাশাপাশি যারা রাহুল দ্রাবিড়কে চেনেন, তারা জানেন কড়া মাস্টারমশাইয়ের মুখের আড়ালে একটা মজার মানুষ আছে।
আরও পড়ুন - VVS Laxman: দ্রাবিড়ের জায়গায় NCA-র প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করে দিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ
ভারতীয় ক্রিকেট খেলা মানেই চাপ সামলানো। তাই ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ( dressing room atmosphere) শান্ত রাখা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি রাহুল দ্রাবিড় বিভিন্ন সময়ে ইয়ার্কি করতেও ছাড়েন না। এই হাসি, মজা অনেক সময় চাপ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। আলাদা করে তাঁর উপর কোনও চাপ থাকবে কি না জানতে চাওয়া হলে রোহিত বলেন, ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলা মানেই বিরাট চাপ থাকবে। ইতিবাচক, নেতিবাচক নানা কথা সারাক্ষণ চলতে থাকবে। আমি মনে করি, মন দিয়ে নিজের কাজ করাটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। লোকে কী বলছে, সেদিকে মন দেওয়ার কোনও মানে হয় না। কারণ, সেটা আমার হাতে নেই।
এটা আমি লক্ষ বার বলেছি। আবার বলব। অধিনায়ক মানে দলেরই অংশ। একজন অধিনায়ক ততটাই ভাল, যতটা তার দল। ক্রিকেটের এই পুরোনো লাইন সম্পর্কে রোহিত যথেষ্ট অবগত। দীর্ঘদিন ক্রিকেট খেলছেন। শেষ কয়েক বছরে সাদা বলের ক্রিকেট বিরাট কোহলির থেকেও তার দাপট বেশি। কিন্তু রোহিত জানেন পা মাটিতে রাখতে হয়। তবেই শিখরে পৌঁছা সম্ভব।
তার ছেলেবেলার কোচ দীনেশ লাড আগেই জানিয়েছিলেন রোহিত যথেষ্ট বুদ্ধিমান। অধিনায়ক হিসেবে কাজ করার সময় বিরাটের সঙ্গে তার কোনরকম ইগোর লড়াই হবে না। দেশের স্বার্থ ছাড়া আর কোন কিছুই বিচার্য নয় হিটম্যানের কাছে। কোচ রাহুল দ্রাবিড় এমন অনেক ইনপুট দেন যেটা অধিনায়ক হিসেবে তাকে সাহায্য করে জানিয়েছেন রোহিত।