জামশেদপুর - ২ (সয়য়ার, দাস)
#কলকাতা: কথায় আছে স্বভাব যায়না মলে। যার অর্থ স্বভাব সহজে বদলানো যায় না। ঠিক যেমন ইস্টবেঙ্গল দলের লিড নিয়ে হেরে আসার স্বভাব তারা বদলাতেই পারছে না। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তের গোল হারতে হল লাল হলুদ ব্রিগেডকে। একের পর এক ম্যাচে পরাজয়ের সম্মুখীন হতে থাকা ইস্টবেঙ্গল এবারেও শুরুতে এগিয়ে থেকে, লিড হারিয়ে ম্যাচ হারে। টেবিলের নিচে থাকা জামশেদপুরে কাছে হেরে গিয়ে নবম স্থানেই থাকল ইস্টবেঙ্গল।
advertisement
১৩ ম্যাচে মাত্র ১২ পয়েন্ট স্টিভেন কনস্ট্যানটাইনের লাল হলুদ ব্রিগেড। যুবভারতী স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হতেই আক্রমনে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। বক্সের বা দিক দিয়ে বল পেয়ে ঢুকে যান, ইস্টবেঙ্গল উইঙ্গার মহেশ। তিনি গোলে শট নেন এবং দুর্ধর্ষ সেভ করলেন জামশেদপুর গোলকিপার বিশাল যাদব। কিন্তু বল আটকালেও তার হাত থেকে গড়িয়ে যায়, এবং সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বল গোলে ঢুকিয়ে দেন ক্লেটন সিলভা।
এই নিয়ে এবারের লিগে ৯ গোল হয়ে গেল তার। গোল খাওয়ার পর থেকে ইস্টবেঙ্গলকে চেপে ধরে জামশেদপুর। তাদের স্ট্রাইকার চিমা চুকু বেশ কয়েকবার আঘাত হানার চেষ্টা করেন নিজের পুরনো দল ইস্টবেঙ্গল গোলে। কিন্তু প্রথমার্ধে তাদের লিড বজায় রাখতে সফল হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে গোল পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে জামশেদপুর।
ইস্টবেঙ্গলের ডি বক্সে ঢুকে বেশ কয়েকটি গোলমুখী শট নিচ্ছিল জামশেদপুর, গোলকিপারের গায়ে লাগা ফিরতি বল গোলে ঢুকিয়ে দেন জামশেদপুরের অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড সয়য়ার। জামশেদপুরের ম্যাচ জয় সূচক গোলটি করেন ঋত্বিক দাস। ৮৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের বক্সে জার্মানপ্রীত সিংয়ের ক্রসে ছুটে এসে হেডার দিয়ে গোলে বল ঢুকিয়ে দিলেন ঋত্বিক দাস।
এর পর আর শোধ দিতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। বাকি দশ মিনিটে অনেকবার চেষ্টা করে, কিন্তু কোনো বারই সফল আক্রমন করতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। ১৩ ম্যাচের পর মাত্র ১২ পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের। ৭ ম্যাচ বাকি থাকতে ইস্টবেঙ্গলের একমাত্র লক্ষ্য টেবিলের প্রথম ছয়টি দলের মধ্যে শেষ করা।
কিন্তু খেলার মান দেখে সেটা অত্যন্ত কঠিন বলেই মনে হচ্ছে। ম্যাচ শেষে লাল হলুদ কোচ স্টিফেন অবশ্য জানালেন দলের খেলায় অভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট। তবে তিনি আশাবাদী জেক জার্ভিস ম্যাচ খেলার অনুমতি পেলে ইস্টবেঙ্গল দলটার চেহারা বদলে যাবে।