এবার অলিম্পিকে সব থেকে বড় দল পাঠিয়েছে ভারত। কিন্তু ভারতীয় পুরুষ হকি দল এবং তিরন্দাজরা না থাকায় মার্চ পাস্টে ভারতীয় দলকে বেশ ফাঁকা ফাঁকাই লাগছিল। ভারতীয় সময় ভোর ৪.৩০ মিনিটে ঢাকে কাঠি পড়ে গেল ২০১৬ রিও অলিম্পিকের।
কয়েক বছর আগে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ব্রাজিল ৷ এবার ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ এই দেশের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ শহর রিও ডি জেনেইরোতে ৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এদিন মারাকানা ভরিয়ে দিয়েছিলেন ৯৯ হাজার দর্শক ৷ দুর্দান্ত একটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে তাঁদের হতাশ করেননি সংগঠকরা ৷
advertisement
সব খেলার মন্তাজের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। কাউন্টডাউন শেষ হতেই আতসবাজির রোশনাইয়ে ছেয়ে গেল মারাকানার আকাশ। পলিনহো দা ভিয়োলার গলায় ব্রাজিলের জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে ব্রাজিলের জাতীয় পতাকার উত্তোলন করা হল ৷ লেজারের শো-এ তখন চেনাই যাচ্ছে না মারাকানাকে ৷ দেখানো হল ব্রাজিলের ইতিহাস ৷ কীভাবে ইউরোপিয়ানদের আগমনে বদলে গিয়েছিল ব্রাজিলের ভবিষ্যৎ। কিংবদন্তী পেলে শেষপর্যন্ত অলিম্পিকের মশাল জ্বালাতে সম্মতি না জানানোয় অলিম্পিক টর্চ জ্বালালেন কিংবদন্তী ম্যারাথন রানার ভ্যান্দেরলেই কর্দেইরো দি লিমা ৷
শুরু থেকেই রিও-র সমুদ্র সৈকতের দূষণ নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে ব্রাজিল। অলিম্পিক উদ্বোধনের আসল থিমই ছিল সেই দূষণ প্রতিরোধ। তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হল ব্রাজিলের সুন্দর দিককে আরও সুন্দর করে তোলার স্বপ্ন। এর পরই দেশের পতাকা হাতে মঞ্চ আলো করতে নেমে পড়লেন অলিম্পিকের আসল যোদ্ধা অ্যাথলিটরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের চিরকালই মূল আকর্ষণ এই মার্চপাস্ট ৷ নিজের দেশের অ্যাথলিটদের মার্চপাস্টে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে ছিলেন প্রত্যেক দেশের মানুষ ৷