এই ঐতিহাসিক জয়ের অন্যতম কারিগর উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা ঘোষ। ভারতের এই তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটার বিশ্বকাপ জুড়ে দারুণ ফর্মে ছিলেন। আট ম্যাচে ২৬০ রান করে তিনি ছিলেন দলের অন্যতম ভরসা। তার গড় ছিল ৩৯.১৬ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৩.৫২ — যা পুরো টুর্নামেন্টে শীর্ষদের মধ্যে অন্যতম। ম্যাচ শেষে রিচা ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “কেউ আমাকে চিমটি কাটো তো?” — যা তার আনন্দ ও বিশ্বাসেরই প্রকাশ। একইসঙ্গে তার বিশ্বাস হচ্ছে না তারা বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে। স্বপ্নের দুনিয়াতে রয়েছেন ভারতের মেয়েরা।
advertisement
রিচা ঘোষ ইতিমধ্যেই এক অনন্য সাফল্যের মালিক। তিনি ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন, ২০২৪ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সঙ্গে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাও জিতেছেন, আর এবার যুক্ত হলো বিশ্বকাপ ট্রফি। সোমবার তার আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, “U19. WPL. World Cup. সব জিতেছি” — যা তার আত্মবিশ্বাস ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার পরিচায়ক।
ভারতের তরুণ ব্যাটার স্মৃতি মন্ধানা, জেমিমা রড্রিগেজ ও রিচা ঘোষের নেতৃত্বে এই জয় ভারতের মহিলা ক্রিকেটকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ছোট শহরের মেয়েরা এখন স্বপ্ন দেখছে, তাদেরও একদিন বিশ্বকাপজয়ী হওয়ার সুযোগ মিলতে পারে। রবিবারের এই জয় সেই স্বপ্নকে আরও বাস্তব করে তুলেছে।
আরও পড়ুনঃ কোচের পায়ে ছুঁয়ে নিলেন আশীর্বাদ! কাছে টেনে নিলেন অমোল মজুমদার, মন ছুঁয়ে গেল মুহূর্ত
যেভাবে ১৯৮৩ সালের লর্ডসের জয় ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেটকে বদলে দিয়েছিল, তেমনি ২০২৫ সালের এই নবি মুম্বইয়ের জয় ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটকে বিশ্বমঞ্চে এক নতুন পরিচিতি এনে দিল। ভারতের মহিলা ক্রিকেটের জন্য এটি নিঃসন্দেহে এক গৌরবময় অধ্যায়, যা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে আগামী প্রজন্মের প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমী মেয়েদের জন্য।
