অনুষ্ঠানে নীতা আম্বানি বলেন, “ঐতিহাসিক ঘটনা। খেলাধূলার ইতিহাসে প্রথমবার অলিম্পিয়ান ও প্যারাঅলিম্পিয়ানরা এক ছাদের নিচে জড়ো হলেন। গত দুই মাসে বিশ্বের সামনে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন যাঁরা, আজ তাঁরা এক জায়গায়। এখানে ১৪০ জনের বেশি অলিম্পিক্স এবং প্যারাঅলিম্পিক্স অ্যাথলিট রয়েছেন। জয়, উদযাপন এবং খেলাধুলোর আত্মায় আমরা সবাই এক।“
অলিম্পিক্সে মহিলা ক্রীড়াবিদদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত নীতা বলেন, “পেশাদার খেলাধুলায় মহিলারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। এই কারণেই আপনাদের সাফল্য বিশেষ। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তো থাকেই, অনেক সময় পরিবারের অনুমতিও মেলে না। ট্রেনিংয়ের অসুবিধা, কোচ, ফিজিও এমনকী পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলিতেও মহিলারা সহজে ঢুকতে পারেন না। আপনারা সব বাধা কাটিয়ে দেশকে সাফল্য এনে দিয়েছেন। এর কোনও তুলনা হয় না। আপনারা প্রমাণ করে দিয়েছেন, অসম্ভব বলে কিছু নেই।’’
advertisement
রিলায়েন্সের পক্ষ থেকে ক্রীড়াবিদদের ধন্যবাদ জানান আকাশ আম্বানি। তিনি বলেন, “রিলায়েন্স পরিবারের কাছে আপনারা অনুপ্রেরণা। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। এমন সন্ধ্যার আয়োজনের জন্য নীতা আম্বানিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনে আমরা যা করি তা ইউনাইটেড ইন ট্রায়াম্ফ দৃষ্টিভঙ্গীরই প্রতিফলন।’’
অলিম্পিক্স এবং প্যারাঅলিম্পিক্সে দেশকে সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য এদিন ক্রীড়াবিদদের সম্মানিত করে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। উপস্থিত ছিলেন রুপোজয়ী নীরজ চোপড়া, সোনাজয়ী মনু ভাকের, প্যারাঅলিম্পিক্সে দেশের প্রথম স্বর্ণপদক জয়ী মুরলীকান্ত পেটকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া, সুমিত আন্তিল, নীতেশ কুমার, হরবিন্দর সিং, ধরমবীর নাইন, নবদীপ সিং এবং প্রবীণ কুমার প্রমুখ। ছিলেন প্রীতি পাল, মোনা আগরওয়াল, সিমরন শর্মা, দীপ্তি জীবনজি, এবং অলিম্পিয়ানরা যেমন সরবজ্যোত সিং, স্বপ্নিল কুসলে, আমান সেহরাওয়াতরাও। পুরুষ হকি দলের হরমনপ্রীত সিং এবং পিআর শ্রীজেশও অ্যান্টিলায় উপস্থিত ছিলেন এদিন। অনুষ্ঠানে সানিয়া মির্জা, দীপা মালিক, কর্ণম মালেশ্বরীর মতো কিংবদন্তীরাও ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে। ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করতে হাজির হয়েছিলেন রণবীর সিং এবং কার্তিক আরিয়ানও।