ভারত এগিয়ে ১৪৪ রানে
নাগপুর: এই না হলে তিনি স্পেশাল ক্রিকেটার! এই না হলে তিনি কামব্যাক কিং! এই না হলে তিনি রবীন্দ্র জাদেজা ! নাগপুর টেস্টে প্রথম দিন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শেষ পাঁচটা মাস ক্রিকেটের বাইরে থাকলেও কিছুই হারাননি। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে রবীন্দ্র জাদেজা জ্বলে উঠলেন ক্যাঙ্গারুদের বিপক্ষে।
advertisement
অধিনায়ক রোহিত শর্মা ১২০ করে আউট হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন ভারতের ইনিংস বোধহয় এবার শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সেরকম ভাবেননি রবীন্দ্র জাদেজা। অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালাতে থাকলেন। অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার থেকে স্পিনার - কেউ খুব একটা বিব্রত করতে পারল না তাকে। প্যাট কামিন্স, মারফি, স্কট, লায়ন - স্যার জাদেজার ব্যাটে আটকে গেলেন সবাই। দেখনদারি নয়, কার্যকরী ইনিংস খেললেন।
পোক্ত ডিফেন্স, শট নির্বাচন, পায়ের ব্যবহার - সবদিক থেকে নিখুঁত ছিলেন জাদেজা। সিঙ্গল, ডবল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন। ভারত বুঝতে পারছে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাকে কতটা মিস করেছিল। তবে প্রশংসা প্রাপ্য অধিনায়ক রোহিত শর্মার। যেভাবে অধিনায়ক হিসেবে দেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন এক কথায় অনবদ্য।
কোহলি, রাহুল, সূর্য, ভরত রান করতে না পারলেও অধিনায়ক হিসেবে হিটম্যান বুঝিয়ে দিলেন নিজের গুরুত্ব। রোহিতের ব্যাটেই প্ল্যাটফর্ম পেল ভারত। তিনি রুখে না দাঁড়ালে দ্বিতীয় দিনের শেষে অ্যাডভান্টেজ ভারত বলা যেত না। বেশ কয়েকটা দেখার মত শট খেলেন হিটম্যান। তার মধ্যে প্যাট কামিন্সকে পুল করে মারা ছয়টা দিনের সেরা শট। তবে প্রশংসা করতে হবে অক্ষর প্যাটেলের।
জাদেজার সঙ্গে থেকে যেভাবে তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলেন ভারতের ইনিংস, তাতে পরিষ্কার নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে কিভাবে উন্নত করেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র প্রাপ্তি বলতে তরুণ অফ স্পিনার টড মারফির ৫ উইকেট। জীবনের প্রথম টেস্ট ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে এমন পারফরম্যান্স সবাই করতে পারে না।
এখন ভারতের লক্ষ্য থাকবে তৃতীয় দিনে সম্ভব হলে ২০০ রানের লিড নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ছেড়ে দেওয়া। বাকি কাজটা অশ্বিন, জাদেজা, সিরাজরা কিভাবে করেন সেটাই দেখতে হবে। অক্ষর প্যাটেলও পঞ্চাশ করে অপরাজিত রইলেন।