তাহলে ফাইনালের উইকেট নিয়ে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভকে কি অভিযোগ জানাতে চান? তবে এই প্রশ্নের উত্তরে অরুনলাল বলেন, ‘‘এখনই এসব নিয়ে কাউকে কিছু বলতে চাই না। তবে উইকেটে বোলারদের জন্য কিছু সহযোগিতা রাখা উচিৎ। না হলে ভাল ম্যাচ হয় না। বাংলার বোলাররা সেরারা দিয়েছে।"
অন্যদিকে স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেট হারানো সৌরাষ্ট্র দলের সবথেকে বেশি চিন্তা চেতেশ্বর পূজারা শারীরিক অসুস্থতা। এদিন জ্বর নিয়েই ম্যাচ খেলতে নামেন পূজারা। শরীর ঠিক না থাকায় নিজের ব্যাটিং অর্ডার অনেকটা পিছিয়ে নেন। ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন চিন্টু। তবে ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন পূজারা। পরে সৌরাষ্ট্র টিম ম্যানেজমেন্ট এর পক্ষ থেকে জানানো হয় নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরে আসার পর গলার সংক্রমণে ভুগছিলেন পূজারা।
advertisement
জ্বর থাকায় ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন করা হয়। ডাক্তার পরামর্শ দেওয়াতে খেলা শেষ হবার অনেকক্ষণ আগেই বাড়ি ফিরে যান পূজারা। সৌরাষ্ট্র দলের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট বলেন, "আশা করছি ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সকালেই পূজারা ব্যাট করতে পারবেন। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাট করেছেন। এখান থেকে বড় রান করা সম্ভব।"
প্রথম দিনের শেষে বাংলা টিমের শিবিরে একটা দুশ্চিন্তা উঁকি মারছে। ক্যাচ ধরতে গিয়ে বাঁহাতের আঙুলে চোট পেয়েছেন অনুষ্টুপ মজুমদার। ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পান সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তবে দিনের শেষে আলাদা করে ব্যাট করতে দেখা গেছে বাংলার অন্যতম ভরসা অনুষ্টুপকে। তবে বঙ্গ টিম ম্যানেজমেন্টের দাবি, সুদীপ এবং অনুষ্ঠান দুজনেই ঠিক আছেন। ব্যাট করতে সমস্যা হবে না। এদিকে রঞ্জি ফাইনালে বাংলা দলে অভিষেক হলো ওপেনার সুদীপ ঘরামির। কোচ অরুণলাল সুদীপকে বেঙ্গল ক্যাপ তুলে দেন। শততম রঞ্জি ম্যাচ খেলার জন্য মাঠে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয় মনোজ তিওয়ারিকে। সন্ধ্যেবেলা টিম হোটেলে কেক কেটে সেলিব্রেশন করা হয় মনোজ তিওয়ারির কৃতিত্বের জন্য। সব মিলিয়ে রঞ্জি ফাইনালের প্রথম দিনের শেষে বাংলা শিবিরে ফিল গুড ফ্যাক্টর।
Eeron Roy Barman