এক কর্তা বলেছিলেন, দেশের আম্পায়ারদের উপর আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। ডিআরএস ব্যবহার করতে গেলে অনেক খরচ। ফাইনালে ডিআরএস না থাকলে কী এসে যায়। মাঠের আম্পায়ারদের ভরসা করতে হবে। কিন্তু এবার আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বিসিসিআই। রবিবার মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৩০৬ রানে জেতে বাংলা। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের দলকে তাদের মাঠে গিয়ে হারিয়ে আসেন লক্ষ্মীরতন শুক্লর ছেলেরা।
advertisement
গতবার যাদের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল এবার সেই দলকে একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে আকাশ, প্রদীপ্তরা। সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে শতরান করেন অনুষ্টুপ মজুমদার এবং সুদীপ ঘরামি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ রান করেন অনুষ্টুপ। ভুল আউটের শিকার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। আকাশ প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন।
বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা জানিয়ে দিয়েছেন ফাইনালে উঠেও তারা সন্তুষ্ট নন। আসল লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সেই লক্ষ্যেই নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দেবে ছেলেরা। ৩৩ বছর পর বাংলা আবার ভারত সেরা হবে কিনা ক্রিকেটে সেটা সময় বলবে। বাংলা শিবির আপাতত সেলিব্রেশন নয়, মন রাখতে চায় নিজেদের প্রস্তুতিতে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিআরএস অবশ্যই একটা বড় পদক্ষেপ বোর্ডের। অন্তত ভুল সিদ্ধান্তের অজুহাত কেউ দিতে পারবে না।