নিয়মিত অধিনায়ক অভিমুন্য ঈশ্বরন ভারতীয় দলের সঙ্গে থাকায় রঞ্জির প্রথম দুটি ম্যাচে নেতৃত্বে ফিরেছিলেন মনোজ তিওয়ারি। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে টসে জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রথম দিন দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন ঈশান। অসুস্থতা এবং ফিটনেস কারণে মরশুমের মুস্তাক আলি এবং বিজয় হাজারে ট্রফি খেলতে পারেননি অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় বিশ্বকাপ জয়ী এই সদস্য। তবে রঞ্জিতে কামব্যাক করেই প্রথম ইনিংসেই ৫ উইকেট নেন তিনি।
advertisement
দীর্ঘদিন বাদে বাংলা দলের সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করেন ফাস্ট বোলার প্রীতম চক্রবর্তীও। রিংকু সিংদের ১৯৮ রানে আটকেও বাংলা প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। ২৯ রানের পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ফের বল হাতে জ্বলে ওঠেন বাংলার ক্রিকেটার আকাশদীপ, ঈশানরা। উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় ইনিংস ২২৮ রানে থামিয়ে দেন কোচ লক্ষ্মীর ছেলেরা।
চতুর্থ ইনিংসে ২৫৭ রান তারা করতে নেমে প্রথম ইনিংসের মত আর ভুল করেনি বাংলা ব্যাটিং। যদিও ওপেনার অভিষেক দাস দুটো ইনিংসেই ব্যর্থ হন। তবে অপর ওপেনার কৌশিক ঘোষ লড়াকু ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন। বরাবরের মতো এবারও বাংলাকে ভরসা দেন অনুষ্টুপ মজুমদার। ফাটা হাত নিয়ে কৌশিকের সঙ্গে দীর্ঘ পার্টনারশিপ করে বাংলাকে ম্যাচে ফেরান।
চতুর্থ দিন খেলা শুরুর আগে বাংলার প্রয়োজন ছিল ১০১ রান। হাতে ছিল ৮ উইকেট। কৌশিক প্রথম ওভারে আউট হয়ে গেলেও অধিনায়ক মনোজকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন অনুষ্টুপ। শেষ পর্যন্ত ৮৩ রানে আউট হন দলের সবথেকে সিনিয়র ক্রিকেটার।অন্যদিকে মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব সামলেও বাংলার হয়ে অপ্রতিরোধ্য মনোজ। প্রথম ইনিংসে দুরন্ত লড়াইয়ের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রানে অপরাজিত থেকে বাংলাকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
আরও পড়ুনঃ সব ভবিষ্যদ্বাণী মিলেছে তাঁর, এবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নের নাম জানালেন বিশ্বখ্যাত জ্যোতিষী
ম্যাচ শেষে নিজের অবসর প্রসঙ্গে আভাস দেন মনোজ। সম্ভবত চলতি মরশুম মনোজের কেরিয়ারের শেষ সিজন হতে যাচ্ছে। সিএবি সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে এই জয়ের পর মনোজকে রঞ্জি ট্রফির সম্পূর্ণ মরশুমের জন্যই অধিনায়ক ঘোষণা করা হতে পারে। মনোজ নিজেও ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ লগ্নে একবার রঞ্জি ট্রফি জিততে চান। ২ ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন ঈশান পোড়েল। কুড়ি তারিখ থেকে হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে বাংলার দ্বিতীয় ম্যাচ ইডেন।