দিল্লি ক্যাপিটালস - ২০৭/৮
রাজস্থান জয়ী ১৫ রানে
#মুম্বই: রাজস্থানের বিশাল রান তাড়া করতে নেমে দিল্লি থেমে যায় ২০৭ রানে। শুরুতে ডেভিড ওয়ার্নার এবং পৃথ্বী শ চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু রাজস্থানের বোলারদের দাপটে বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি তারা। ঋষভ পন্থ নিজে ৪৪ রান করেন। তিনি ফিরতেই ম্যাচ হাতের মুঠোয় বলে মনে করছিলেন পন্থরা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৬ রান। প্রথম তিন বলে রভমান পাওয়েল তিনটি ছয় মেরে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন দিল্লিকে।
advertisement
সেই সময় একটি নো বলের আবেদন করেন পন্থরা। দিল্লি অধিনায়ককে দেখা যায় মাঠ থেকে বেরিয়ে আসতে বলছেন ব্যাটারদের। তাতেই তাল কেটে গেল। শেষ তিন বলে আর কোনও ছয় হল না। ম্যাচটাও হেরে গেল দিল্লি। ম্যাচ শেষে পন্থ জানিয়ে দিলেন তাদের মনে হয়েছিল ওটা নো বল ছিল। আম্পায়ারের অন্তত তৃতীয় আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল। তবে হতাশ হলেও তার কথায় নিয়ম বদলাবে না জানেন পন্থ। তবে এই নিয়ে সাময়িক উত্তেজনা তৈরী হলেও পরে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়।
আজ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেই ওয়ার্নারের দল দিল্লি ক্যাপিটালসর বিপক্ষে জস বাটলার ফের একটা শতরান করলেন। চলতি আইপিএলে এই নিয়ে তিনটে শতরান হয়ে গেল বাটলারের। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং কেকেআরের পর আজ দিল্লির বিরুদ্ধে ইংরেজ তারকা আবার জ্বলে উঠলেন ব্যাট হাতে। প্রথমদিকে একটু ধীরগতিতে শুরু করলেন। পিচের চরিত্র বুঝে নেওয়ার পর নিজের স্বাভাবিক খেলা শুরু করলেন।
মুস্তাফিজুর, খলিল, ললিত যাদব, অক্ষর প্যাটেলদের খুন করলেন বাটলার। দিল্লির বোলাররা বুঝতে পারছিলেন না কোথায় বল ফেলবেন। প্রকাণ্ড ছক্কা হাঁকান বাটলার। ১০৭ মিটার পর্যন্ত বিশাল ছক্কা প্রায় উড়ে গেল মেরিন ড্রাইভে। আইপিএল ক্যারিয়ার এলেন তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। ছয়টি সেঞ্চুরি করে শীর্ষে রয়েছেন ক্রিস গেইল। পাঁচটি শতরান আছে বিরাট কোহলির।
আপাতত তালিকায় তিন নম্বরে থাকলেন বাটলার। তবে যে ফর্মে আছেন, তাতে কোহলি এবং গেইলকে স্পর্শ করে ফেলতে পারেন, কাকে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। সবচেয়ে বড় কথা জস বাটলার উইকেটের চারিদিকে শট খেলতে পারেন। কেন তাকে টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে খুনে ক্রিকেটার বলা হয়, আজ আবার দেখালেন বাটলার।
রবি শাস্ত্রী থেকে ইরফান পাঠান সোশ্যাল মিডিয়ায় বাটলার বন্দনায় প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। তবে প্রশংসা করতে হবে দেবদত্ত এবং অধিনায়ক সঞ্জুর। প্রথমজন অর্ধশতরান এবং সঞ্জু অপরাজিত রইলেন ৪৬ রানে। শেষ পর্যন্ত বাটলার আউট হলেন মুস্তাফিজুরের বলে ১১৬ করে।
তবে দিল্লি শিবির তৃতীয় আম্পায়ার নিয়ে সত্যিই বিরক্ত। এমনকি ইরফান পাঠান সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিতর্ক এড়াতে তৃতীয় আম্পায়ারের ভূমিকা নেওয়া উচিত ছিল। একটা সময় রেগে গিয়ে পন্থ দল তুলে নিতে চেয়েছিলেন।