আরও পড়ুন - ৩৬ বছরের অধরা বিশ্বকাপ উঠবে মেসির হাতেই! বলছেন আর্জেন্টিনার `মিস্টার অক্টোপাস'
তাই কাতারের গরম না কমার ফলে নতুন পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে প্রচণ্ড গরম থেকে ফুটবলারদের বাঁচাতে অনুশীলনের সময় মাঠের বাইরে থেকে বিশেষ ধরনের ওয়াটার কুলারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে জলের হালকা বিন্দু লাগবে ফুটবলারদের গায়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, দোহার গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ফুটবলারদের।
advertisement
কাতারের গরম নিয়ে আগে থেকেই আপত্তি জানিয়েছিল ফুটবল বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলি। তাদের আপত্তিকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বকাপের সময় পরিবর্তন করেছে ফিফা। জুন-জুলাইয়ের বদলে নভেম্বর-ডিসেম্বরে হচ্ছে বিশ্বকাপ। তবু কাতারের তাপমাত্রা দলগুলির কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া করছে।
সূর্যের প্রখর তাপের হাত থেকে বাঁচতে গ্যারেথ বেলের ওয়েলস অনুশীলনের সময় পরিবর্তন করেছে। দুপুরের বদলে সন্ধ্যায় অনুশীলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। অনুশীলনের সময়ও কমানো হয়েছে ফুটবলারদের সুস্থ রাখতে। গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
ওয়েলসের আক্রমণ ভাগের ফুটবলার মার্ক হ্যারিস বলেছেন, হোটেলে এমনি হাঁটাহাঁটি করলেই ঘেমে যাচ্ছি আমরা। সকাল ১১টা নাগাদ কয়েক জন হাঁটতে বেরিয়ে ছিলাম। গরমে ভীষণ কষ্ট হয়েছে আমাদের। শরীরবিদ্যার অধ্যাপক মাইক টিপটন বলেছেন, এই তাপমাত্রা ফুটবল খেলার জন্য আদর্শ নয়। ৯০ মিনিট দৌড়ে ফুটবল খেলা পরের ব্যাপার, অতিরিক্ত শরীরচর্চাও ক্ষতিকর হতে পারে এই তাপমাত্রায়। শরীরের ক্ষতি হবে। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
হিট স্ট্রোকও হতে পারে ফুটবলারদের। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে জুস এবং তরল খাবার প্রস্তুত রাখা হচ্ছে মাঠের ধারেই। মিনি এম্বুলেন্স এবং স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা তৈরি থাকছে সব সময়।