বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন পঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। রোহিত শর্মা রান না পেলেও দ্বিতীয় উইকেটে জনি বেয়ারস্টো ও তিলক বর্মা ঝড়ো ৫১ রানের পার্টনারশিপ করেন। বেয়ারস্টো ব্যক্তিগত ৩৮ রান করে ফেরার পর তিলক বর্মার সঙ্গে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। মারকাটারি ব্যাটিং করে দুজন মিলে জুটিতে ৭২ রান যোগ করে।
advertisement
ওভার পিছু প্রায় ১০ রানের গতিতে রান করে মুম্বই। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া বড় রান করতে ব্যর্থ হন। শেষের দিকে স্লগ ওভারে দুরন্ত ব্যাটিং করেন নমন ধীর। ১৮ বলে ৩৭ রান করেন তিনি। নমন ধীরের মারকাটারি ব্যাটিং মুম্বইকে ২০০-র দোরগোড়ায় পৌছে যায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি পঞ্জাব কিংসের। প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরন সিং বড় রান করতে পারেননি। তবে জস ইংলিশ ক্রিজে এসেই দ্রুত গতিতে রান তোলা শুরু করেন। তবে ২১ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেই আউট হন অজি তারকা। ৭২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল পঞ্জাবের। এরপর দলের ইনিংসের রাশ অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ও নেহাল ওয়াধেরা।
ঠান্ডা মাথায় অতিরিক্ত ঝুঁকি না নিয়ে ব্যাট করার পাশাপাশি দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন শ্রেয়স ও নমন ধীর। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন দুজনে। ৮৪ রান জুটিতে যোগ করেন তারা। তবে অল্পের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করেন নেহাল ওয়াধেরা। ৪৮ রান করে আউট হন তিনি। এরপর শশাঙ্ক সিংও ২ রান করে রানআউট হন।
আরও পড়ুনঃ IPL 2025: আইপিএলের পরই কলকাতায় আসছেন রোহিত শর্মা! উদ্যোগ নিয়েছেন খোদ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
তবে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান শ্রেয়স আইয়ার। হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। শেষের দিকে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে কার্যত একার হাতে দলকে টানেন শ্রেয়স। একাই ম্যাচ ফিনিশ করেন শ্রেয়স আইয়ার। স্লগ ওভারে রুদ্রমূর্তি ধারন করনে পঞ্জাব কিংস অধিনায়ক। মুম্বইয়ের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে ৫ উইকেটে পঞ্জাব কিংসকে জয় এনে দেন শ্রেয়স। ৩ তারিখ মেগা ফাইনালে মুখোমুখি আরসিবি ও পঞ্জাব।