কিন্তু দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং ফিল সল্ট দুরন্ত শুরু করলেন। ওপেনিং জুটিতে এল ৬০ রান। ডেভিড ওয়ার্নার ২২ ফিরে গেলেও সল্ট এবং মিচেল মার্শ মিলে মারতে থাকলেন আরসিবি বোলারদের। নয় ওভারে একশ রান হয়ে গেল। ১৭ বলে ২৬ করে ফিরে গেলেন মার্শ। কিন্তু এরপর রুশো সাহায্য করলেন সল্টকে। খাতায় কলমে লড়াইটা ছিল আরসিবি বনাম দিল্লির।
advertisement
কিন্তু পর্দার পেছনে অলিখিত একটা লড়াই ছিল বিরাট কোহলি এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সৌরভ এবং বিরাটের সাম্প্রতিক খারাপ সম্পর্ক নিয়ে জানতেন না এমন লোক নেই। এবারের আইপিএলেই বেঙ্গালুরুর মাঠে প্রথম সাক্ষাতে সৌরভের দিল্লিকে হারিয়ে জবাব দিয়েছিলেন কোহলি। ম্যাচ শেষে একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাননি।
আজ টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বেঙ্গালুরু। বিরাট এবং দু প্লসি প্রথম থেকেই মারতে শুরু করেন। বেঙ্গালুরু প্রথম উইকেট পড়ে ৮২ রানে। ফ্যাফ ৪৫ করে ফিরে গেলেও বিরাট কোহলি তার ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই আইপিএলে। ৪৬ বলে ৫৫ করে আউট হয়ে যান বিরাট মুকেশ কুমারের বলে ক্যাচ দিয়ে।
অন্যদিকে মহিপাল লোমরোর বেঙ্গালুরুর রান বাড়িয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন। বিরাট আউট হওয়ার পরে গ্যালারিতে শুকনো মুখে দেখা গেল অনুষ্কা শর্মাকে। আজ বিরাট কোহলি আবার একটা হাফ সেঞ্চুরি করলেন বটে, কিন্তু দুরন্ত ব্যাটিং করেছেন এমনটা বলা যাবে না। দিল্লির ঘরের ছেলে বিরাট কোহলি। কিন্তু আজ তিনি ঘরের শত্রু। দেখার ম্যাচে শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু নাকি সৌরভের দিল্লি বাজিমাত কোন দল করে?
৪৪ বলে ৮৭ করন শর্মার বলে বোল্ড হলেন সল্ট। ততক্ষণে দিল্লিকে ম্যাচের জয়ের জায়গায় এনে দিয়েছেন তিনি।