ফুটবল মাঠের সঙ্গে জীবনের প্রেক্ষাপটের অনেক তফাৎ। সেটাই যেন প্রমাণ হল আবার। তবে পেলে এর আগেও বারবার মৃত্যুকে ড্রিবল করেছিলেন। বারবার। তিনি ফিরে এসেছিলেন। এবার আর পারলেন না। পেলে চলে গেলেন এমন দেশে, যেখানে দিয়েগো মারাদোনা আছেন। সেখানে এতক্ষণে হয়তো ফুটবল নিয়ে গপ্পো শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- `মেসির অপেক্ষায় আছি আমি'! আর্জেন্টাইন তারকার সঙ্গে ঝামেলা নেই দাবি এমবাপের
advertisement
পেলের মেয়ে কেলি বাবার জীবনের শেষ মুহূর্তগুলোতে পাশেই ছিলেন। বাবার সঙ্গে একেবারে তাঁর পাশে। তিনি দিন আগেই লিখেছিলেন, সময় ক্রমশ বয়ে চলেছে। কিন্তু বাবার সঙ্গে কাটানো এই মুহূর্তগুলো আমাদের সঙ্গে থাকবে। এই মুহূর্তগুলো চিরন্তন। মুহূর্তগুলে চিরন্তন হয়েই থাকল।
চলে গেলেন ফুটবল সম্রাট পেলে। তাঁর মেয়ে যেন মনটাকে শক্ত করেই রেখেছিলেন। সারা বিশ্ব তবুও পেলের ফিরে আসার অপেক্ষা করেছিল। কেলিও করছিলেন। হাজারো স্মূতি ফেলে রেখে চলে গেলেন পেলে। কেলি লিখলেন, তোমাকে শুধু এটুকুই বলব, ধন্যবাদ বাবা। তোমাকে আমরা প্রচণ্ড ভালবাসি। শান্তিে ঘুমোও।
বছর শেষ হতে আর ২ দিন বাকি। বছরের শেষবেলা যে এভাবে গোটা বিশ্বকে কাঁদিয়ে ছাড়বে, কে জানত! বছরের শেষটা এভাবে হবে কে ভেবেছিল! বিশ্বকাপের বছর। মেসির বিশ্বকাপ জয়। ফুটবল বিশ্ব এখনও বিশ্বকাপের হ্যাং ওভার কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এরই মধ্যে চলে গেলেন পেলে।